অভ্যন্তরীণ নদীগুলোয় পানি এখনো বাড়ছে। উল্লাপাড়ায় বাখুয়া গ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে ফাইম হোসেন (২) নামের এক শিশু মারা গেছে।
গতকাল বুধবার রাত নয়টা থেকে পানি বিপৎসীমার ওপরেই স্থিতিশীল রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) আওতায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের রানীগ্রাম থেকে খোকসাবাড়ি আনসার মোড় পর্যন্ত বাঁধের বিভিন্ন স্থানে পানি চুঁইয়ে পড়ছে।
জেলার ৫০টি ইউনিয়নের ৩৫০টি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এলাকার প্রায় চার লাখ মানুষ এখন পানিবন্দী। শতাধিক আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে ৬ হাজার ৬০০ মানুষ।
বন্যায় তলিয়ে গেছে সাড়ে চার হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন, পাট ও সবজি।
উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান কউসিক আহমেদ জানান, বাখুয়া গ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে ফাইম হোসেন নামের এক শিশু মারা গেছে। এর আগে সাপের কামড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছিল।
বন্যার কারণে ১৭১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভবনে পানি উঠেছে। এ ছাড়া কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। তাই মোট ২১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম বলেন, ‘আশা করছি, বন্যার পানি আর বাড়বে না। সব নদীতে পানি একসঙ্গে বেড়ে যাওয়ায় পানি নামতে দেরি হচ্ছে।’