অভিযান শেষে পুলিশের মহাপরিদর্শক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক এক ব্রিফিংয়ে জানান, নিহত ‘জঙ্গি’র নাম সাইফুল ইসলাম। তিনি খুলনার বিএল কলেজের ছাত্র ছিলেন। তাঁর বাড়ি ডুমুরিয়ায়। বাবা একটি মসজিদের ইমাম। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর বাসভবন ৩২ নম্বরকেন্দ্রিক তাঁর একটি হামলার পরিকল্পনা ছিল। খবর পেয়ে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট পান্থপথ এলাকা ঘিরে ফেলে।
এ কে এম শহীদুল হক বলেন, প্রাথমিকভাবে অভিযান শেষ হয়েছে। নিহত ‘জঙ্গি’ নিজেই আত্মঘাতী হয়ে বিস্ফোরণ ঘটান। তিনি নব্য জেএমবির সদস্য কি না, এ ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিখোঁজের তালিকায় তিনি ছিলেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালের পশ্চিম পাশে ছয় নম্বর ভবনটি ঘিরে ফেলে পুলিশ। ১১ তলা ভবনে অবস্থিত হোটেল ‘ওলিও গ্রিন হ্যাভেন’-এর চারতলায় ৩০১ নম্বর কক্ষে একজন জঙ্গি অবস্থান নিয়েছেন বলে জানতে পারে পুলিশ। পরে ওই রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে আটকে পুরো এলাকায় ঘিরে রাখেন পুলিশ ও পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াটের সদস্যরা।
সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ওই ভবনের বিপরীত দিকে ওলিও হোটেলের আরেকটি চারতলা ভবনে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটে। এতে বহুতল ভবনটির একটি ফ্লোরের দেয়াল ধসে পড়ে। ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে ৯টা ৫০ মিনিটের মধ্যে কয়েকবার গোলাগুলির আওয়াজ আসে।