চলচ্চিত্র জগতে শারীরিক সম্পর্কের বিনিময়ে অভিনয়ের কথা অজানা নয়। বলিউডের একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীরা এই নির্মম সত্যের কথা স্বীকার করেছেন।
মালায়ালাম ইন্ডাস্ট্রিতেও একই চিত্র দেখা যায়।
মালায়ালাম অভিনেত্রী পার্বতী স্বীকার করেছেন কাস্টিং কাউচের কথা। তিনি জানালেন, ‘মালায়লাম ইন্ডাস্ট্রিতেও অভিনেতা-অভিনেত্রীরা কাস্টিং কাউচের শিকার। ’
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পার্বতী বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রিতে আমাকে ও আমার মত একাধিক জনকে বিছানায় যাওয়ার প্রস্তাব করেছিল। যৌন সম্পর্ক করতে বলা হয়েছিল। এমন ঘটনার শিকার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেয়েরাই হয়। অথচ এই মেয়েরাই পারে এর সমাধান করতে। প্রস্তাব এলে সরাসরি না বলে দিতে পারে। তাতে আজ না হোক কাল, এমন সমস্যার মুখোমুখি হবে না ইন্ডাস্ট্রির কোনো শিল্পী। ’
পার্বতীর কথার সমর্থন দিয়েছে উইমেন ইন সিনেমা কালেক্টিভ (ডব্লিউসিসি)। কেরালার এই সংস্থা জানিয়েছে, ইন্ডাস্ট্রিতে কাস্টিং কাউচ আছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের জন্য তারা সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে।
কাস্টিং কাউচ আটকানোর জন্য ডব্লিউসিসি’র প্রতিনিধিরা ভারতের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের কাছে গিয়েছিলেন। তারপর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার জন্য সরকার একটি কমিশন গঠন করেছিল। হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি কে হেমারের নেতৃত্বে কমিশন তদন্ত শুরু করে।