কেজিএমইউর এক চিকিৎসক প্রেরিত আগরওয়াল পড়াশোনা চলাকালীন এক যুবতূকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমের জালে ফাঁসায়। ঘন্টার পর ঘন্টা ফোনে কথা বলে। এসএমএসও পাঠায়। এরপর শরীর খারাপের বাহানা বানিয়ে যে যুবতীকে হোস্টেলে ডেকে নিয়ে এসে তাকে ধর্ষণ করে। কিন্তু পড়া সোষ করে ডাক্তার হতেই সে যুবতীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। যুবতীর বাড়ির লোক প্রেরিতের বাড়িতে গেলে তারা বিয়ের পণ হিসেবে কোটি টাকা দাবি করেন। কোনও উপায় না দেখে যুবতী রবিবার বজীরঙ্গ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, মাড়িয়াব এলাকায় থেকে প্রতিযোগী পরীক্ষার প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন বরেলী এলাকার বাসিন্দা এই যুবতী। সে ইন্টারনেটে বিয়ের জন্য প্রোফাইল বানিয়েছিল। সেখানেই চিনহটের বাসিন্দা ডা. প্রেরিতের সঙ্গে তার আলাপ হয়। প্রেরিত নভেম্বর মাসে পরীক্ষায় পাশ করার পর যুবতীতে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়।
যুবতীর অভিযোগ, গত ১৬ এপ্রিল শরীর খারাপের বাহানা বানিয়ে প্রেরিত যুবতীকে কেজিএমইউ’র গৌতমবুদ্ধ ছাত্রাবাসে ডেকে নিয়ে আসে। দুপুরের দিকে যুবতী সেখানে যায়। প্রেরিত তার সঙ্গে অশ্লীল ব্যবহার শুরু করলে যুবতী তাকে বাধা দেয়। কখনই ছুরি দিয়ে ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে প্রেরিত। এরপরে সে যুবতী বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলে যুবতী ঘটনার কথা কাউকে জানায়নি। কিন্তু রেজাল্ট বেরোনোর পরই প্রেরিত যুবতীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে।
যুবতীর অভিযোগ গত ১৭ নভেম্বর সে প্রেরিতের সঙ্গে দেখা করতে গেলে প্রেরিত তাকে তার বাবা প্রদীপ গুপ্তার সঙ্গে দেখা করতে বলে। পরের দিন যুবতীর বাড়ির লোক প্রদীপ গুপ্তার সঙ্গে দেখা করেন। প্রেরিতের বাবা ছেলের পড়াশোনার খরচের কথা বলে বিয়েতে ৫০ লক্ষ টাকা নগদ, হন্ডা সিটি গাড়ি ও আধ কিলো সোনার গয়না দাবি করেন। যুবতীর পরিবার তাদের অক্ষমতার কথা জানালে তিনি যুবতীর পরিবারকে হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। এরপরেই যুবতী অভিযুক্ত চিকিৎসকেরা বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করে।
সূত্র: কলকাতা ২৪x৭