দেহরক্ষীর সঙ্গে প্রেমে মজেছিলেন ডায়ানা!

Slider বিচিত্র

princess-dian

প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে দাম্পত্য সঙ্কটের কারণে প্র্যাত প্রিন্সেস ডায়ানা গোপনে সুখ খুঁজছিলেন তার নিজস্ব দেহরক্ষি বডিগার্ড বেরি মানাকির ভেতরে। মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, প্রায় ৭ বছর প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ছিল না ডায়ানার।

এ জন্যই ডায়ানা বডিগার্ড বেরি মানাকি’র সঙ্গে প্রেমে মজেছিলেন।

সম্প্রতি প্রয়াত প্রিন্সেস ডায়নার অপ্রকাশিত ভিডিও টেপ প্রকাশ করা নিয়ে ভালই জলঘোলা হয়েছে। যতই ডায়ানা–ঘনিষ্ঠদের এই ভিডিও টেপ প্রকাশ করায় আপত্তি থাকুক, সেই আবেদনে কান দিতে নারাজ এই ভিডিওটেপের স্বত্বাধিকারী চ্যানেল ফোর। বরং এরই মধ্যে নতুন করে বোমা ফাটিয়েছে তারা। জানিয়েছে, এক দেহরক্ষীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ছিল প্রয়াত এই যুবরানির।

ডায়নার সঙ্গে প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে সম্পর্ক তখন তলানিতে এসে ঠেকেছে। সেই সময়েই ডায়ানা অন্তরঙ্গ হয়ে পড়েন তার দেহরক্ষী বেরি ম্যানাকির সঙ্গে। শুরু হয় উদ্দাম যৌনজীবন। সেকথা প্রকাশিতব্য ভিডিও টেপটিতে নাকি স্বীকার করেছেন ডায়ানা।

সেখানে তিনি খোলাখুলিই জানিয়েছেন, যে সময়ে ম্যানাকির সঙ্গে তিনি অন্তরঙ্গ হন, তখন স্ত্রীর কাছে প্রিন্স চার্লসের চাহিদা বলতে ছিল তিন সপ্তাহে একবার যৌনতা। এর বাইরে কোনও মানসিক টান ছিল না দু’‌জনের মধ্যে। ঠিক এভাবেই বিয়ের আগে তিন সপ্তাহে একবার সাবেক প্রেমিকা ক্যামিলার কাছে যেতেন চার্লস।

বিচ্ছেদের পরে কণ্ঠস্বর উন্নত করার জন্য একজন স্পিচথেরাপিস্টের শরণাপণ্ণ হয়েছিলেন ডায়ানা। পিটার সেটেলন নামে ওই স্পিচথেরাপিস্টের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলতে হত তাঁকে। তিনি সেটার ভিডিও করতেন। এই ভিডিও টেপের শুটও  তিনিই করেছিলেন। বিবাহবিচ্ছিন্ন ডায়ানা কিছুই লুকোতেন না সেটলনের কাছে। দেহরক্ষী বেরির সঙ্গে যৌনতা ও প্রেমের কথাও তিনি খোলাখুলি আলোচনা করেছিলেন।

সেই স্পিচথেরাপিস্টের কাছে ডায়ানা বলেছিলেন, স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে ওই দেহরক্ষীই ছিলেন ডায়ানার মনের মানুষ। সব কিছু ছেড়ে বেরির সঙ্গে তিনি পালাতেও রাজি ছিলেন। আর ডায়ানার এই ইচ্ছায় একশো শতাংশ সায় ছিল বেরির।

ডায়ানা জানান, ‘‌সবাইকে জানাতে চেয়েছিলাম আমি ওর সঙ্গে ভাল আছি। আমি যে মানসিক পরিস্থিতিতে আটকে ছিলাম বেরি–ই আমাকে উদ্ধার করে। আমি যা চেয়েছি, ও তাই করেছে। ’‌

প্রিন্স চার্লসকেও বিঁধতে ছাড়েননি ডায়ানা। কেন তিনি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন, সেই কৈফিয়তও চেয়েছিলেন তিনি। নিরুত্তাপ চার্লস নাকি বলেছিলেন, ‘‌আমি ওয়েলসের একমাত্র প্রিন্স নই যার উপপত্নী আছে। ’‌ এদিকে স্বামীর পরকীয়ার কথা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে জানিয়েছিলেন ডায়ানা।

এ প্রসঙ্গে এলিজাবেথের উত্তর ছিল, ‘‌আমি জানি না তোমার কী করা উচিত। চার্লসকে আমি সামলাতে পারব না। ’‌ ডায়ানা ও বেরির সম্পর্কের কথা জানাজানি হওয়ার পরেই বেরিকে বরখাস্ত করা হয়। তার কিছুদিন পরই একটি বাইক দুর্ঘটনায় বেরির মৃত্যু হয়। ডায়ানা বলেন, ‘‌বেরির মৃত্যু আমার জীবনের সবথেকে বড় শোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *