‘ওয়েসইয়াংমি… ওয়াইমি…’ ফোন করতেই মুঠোফোনের অপর প্রান্ত থেকে কানে ভেসে এলো কে যেন এসব শব্দ উচ্চারণ করছেন। মনে হলো পরীমণি কোনো বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না। অন্য কথা শুরু না করে শব্দ দুটি সম্পর্কে জানতে চাইলাম। প্রথমে কিছু না বললেও পরবর্তীতে জানা গেল শব্দ দুটি চাইনিজ। এর একটি অর্থ ‘আই মিস ইউ’ এবং পরেরটি ‘আই লাভ ইউ’। পাঠকরা নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝে গেছেন হঠাৎ করে পরীমণি কেন চাইনিজ ভাষা রপ্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আসলেও তাই, সবকিছু ঠিক থাকলে এবার চাইনিজ সিনেমায় দেখা যাবে হালের আলোচিত এ অভিনেত্রীকে। চীনের একটি বাস্তব ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরি হতে যাচ্ছে ফিচার ফিল্ম ‘চেজিং মার্ডার’। ঘটনাটি ঘটেছিল চলতি বছরের ৬ মে। যা ‘জিয়াংজিয়া শুটিং মার্ডার নামে আলোচিত। এ মার্ডারের তদন্ত উদ্ঘাটন করতে দায়িত্ব দেওয়া হয় একজন পুলিশ অফিসারকে। মাত্র ২০ দিনের মাথায় অপরাধীকে ধরা হয় আন্তর্জাতিক ক্রিমিনাল পুলিশের সহায়তায়। ছবিটির প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছে চীনের হুবে ফেঙ্গু তিয়ানজিয়া ফিল্ম কোম্পানি লিমিটেড। সেখানকার কয়েকটি প্রদেশ এবং বাংলাদেশেও ছবিটির শুটিং হবে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া পুরো সিনেমাটি বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দেবেন হুজিয়াহুই এবং ডেনিপ্যাং। সিনেমাতে বাংলাদেশের অভিনেত্রী পরীমণি ছাড়া আরও অভিনয় করবেন চীন এবং হংকংয়ের বেশ কয়েকজন অভিনেতা-অভিনেত্রী। এতে পরীমণিকে দেখা যাবে একজন আন্তর্জাতিক পুলিশ সদস্য হিসেবে। এদিকে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে পরীমণি বলেন, ‘আগামী মাসে অফিসিয়ালি এ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হব। সম্প্রতি চীন ভ্রমণে গিয়েছিলাম। সেখানে অনেক সোশ্যাল অ্যাপস নিষিদ্ধ। তাই উই চ্যাট ব্যবহার শুরু করি। সেখানেই পরিচয় হয় বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীর সঙ্গে। একজন বাংলাদেশি তরুণ ছিলেন যিনি হুবে ফেঙ্গু তিয়ানজিয়া ফিল্ম কোম্পানিতে কর্মরত। অনেকটা আচমকা তিনি আমাকে ‘নক’ করেন। এরপর নিয়ে যান সেই প্রোডাকশন হাউসে। সর্বোচ্চ পর্যায়ের নীতি-নির্ধারকের সঙ্গে মিটিং হয় সেখানে। তারাও আমাকে ছবিটির স্ক্রিপ্ট পড়ে শোনান। দেশে ফিরে এলে তারা যোগাযোগ করেন। আমিও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে মতামত শেয়ার করি। তারাও সায় দেন। এভাবেই যুক্ত হয়ে গেলাম। ’ পরীমণি আরও বলেন, ‘প্রথমে আপত্তি করেছিলাম, কারণ এক থেকে দেড় মাস চীনে থাকতে হবে। তাহলে এখানকার ছবির শুটিংয়ের কী হবে? সে বিষয়ও পরিকল্পনা করেছি। তাই ব্যাটে-বলে মিলে গেল। ’ অন্যদিকে, চীনের এ প্রোডাকশন হাউসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারাও বিষয়টি পরিষ্কার করেন। তারা জানান, প্রাথমিক পরিকল্পনা রয়েছে আগামী বছরের প্রথমার্ধে ছবিটি মুক্তি দিতে। শিগগিরই ক্যামেরা অন করবে। এর আগে বাংলাদেশে সংবাদ সম্মেলনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।