রাতুল মন্ডল,শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের শ্রীপুরে বরমী পাঠানটেক এলাকায় পাগলা কুকুরের কামড়ে জলাতংক রোগে আক্রান্ত মৃত গরুর মাংস বিক্রির চেষ্টা করেছে স্থানীয় কয়েকজন কসাই। পরে তাদের চেষ্টা প্রতিহত করে স্থানীয়রা। গত মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যপক তোলপাড় চলছে। ঘটনার পর থেকে কসাই মোক্তার হোসেন ,আলম মিয়া ও তাদের সহযোগীরা পলাতক রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাঠানটেক গ্রামের শুক্কুর আলীর একটি গরুকে প্রায় ২৫দিন পূর্বে কুকুরে কামড়ায়। এতে ওই গরুটি জলাতংক রোগে আক্রান্ত হয়। অনেক চিকিৎসার পরেও গরুটি সুস্থ হয়নি। পরে মঙ্গলবার সকালে শুক্কুর আলীর গরুটি মারা যায়। চামড়া সংগ্রহের কথা বলে বরমী বাজারের কসাই মোক্তার আলম,রুবেল,আঃ কাদির,ও শহিদ দুই হাজার টাকায় মৃত গরুটি ক্রয় করে। পরে কসাইরা ওই মৃত গরুর মাংস বরমী বাজারে এনে বিক্রির প্রস্তুতি নিলে স্থানীয় লোকজন মৃত গরুর মাংস সহ কসাই শহিদ ও আলমকে আটক করে। এ সময় খবর পেয়ে এনামুল হক ও শুভ মিয়া নামে দুইজন ঘটনা স্থলে গিয়ে টাকার বিনিময়ে সমঝোতার মাধ্যমে কসাইদের ছেড়ে দেয় বলে জানান স্থানীয় লোকজন। এনিয়ে এলাকাবাসীরা গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে। পরে এলাকাবাসীদের কয়েকজন মৃত গরুর মাংস মাটি চাপা দেয়।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে এনামুল হক ও শুভ মিয়া টাকার বিনিময়ে আটককৃতকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি সত্য নয় বলে জানান।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক(এস,আই))মোহসিন হোসাইন জানান, মৃত গরুর মাংস বিক্রির চেষ্টার বিষয়ে এলাকবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কসাইরা পালিয়ে যায়।
বরমী বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মোড়ল জানান, অভিযুক্ত কসাইয়ের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এ ধরনের কর্মকান্ডে জড়িত কসাইদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করেন তিনি।
জেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম জানান, এই ঘটনাটি তিনি জানেন না। খোঁজ নিয়ে তদন্তপূর্বক আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ।
রাতুল মন্ডল
০১৭২১৭০০১৩৫
২/৮/১৭