মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দের বিতরণ করা ছাগলের মৃত্যুর খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করার ঘটনায় আটক সাংবাদিক আব্দুল লতিফ মোড়ল অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। আজ (বুধবার) খুলনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (খ অঞ্চল) বিচারক নুসরত জাবিন মামলার শুনানী শেষে জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
জানা যায়, এফসিডিআই প্রকল্পের আওতায় খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য এবং মৎস্য ও প্রানী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ ডুমুরিয়ায় দরিদ্রদের মাঝে ছাগল বিতরণ করেন। বিতরণ করা ছাগল মারা যাওয়ার খবর ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন আব্দুল লতিফ।
বিবাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা করা হয়েছে। অপরাধের সত্যতা প্রমানের জন্য যে নথিপত্র উপস্থাপন করা হয়েছে তা’ পর্যাপ্ত নয়। এ কারণে আদালত মামলার শুনানী শেষে ১০ হাজার টাকা জামিননামায় তার অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছেন।
অপর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী জানান, আদালতে পুলিশের অভিযোগপত্র দেওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি জামিনে থাকবেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান।
এদিকে সাংবাদিক আব্দুল লতিফের জামিন মঞ্জুর হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন খুলনার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ও ভুক্তভোগীর পরিবার। সাংবাদিক আব্দুল লতিফের মেয়ে মেহনাজ রেজা মীম্মা জানায়, এ ঘটনায় আমার বাবার কোন দায় ছিল না। তিনি শুধুমাত্র অনলাইনের নিউজটি শেয়ার করেছিলেন। এভাবে আর কোন সাংবাদিককে যেন হয়রানীর মুখে পড়তে না হয় সে ব্যাপারে তিনি ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান ।
উল্লেখ্য, এফসিডিআই প্রকল্পের আওতায় নারায়ন চন্দ্র চন্দ ডুমুরিয়ায় দরিদ্রদের মাঝে ছাগল বিতরণ করেন। বিতরণ করা ছাগল মারা যাওয়ার খবর ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন আব্দুল লতিফ। সুব্রত ফৌজদার নামের এক ব্যক্তি সোমবার রাতে লতিফের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা করলে ওই রাতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার খুলনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (খ অঞ্চল) জামিনের আবেদন করলে বিচারক নুসরত জাবিন বুধবার শুনানীর দিন ধার্য করেন।