লাঞ্চ-ডিনারের পর মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস কি ভাল?

Slider বিচিত্র

BwtD2xYCQAAGmd6মিষ্টি এমন একটা জিনিস, যা হয়তো বেশি মানুষেরই প্রিয়। ভোজনরসিক বাঙালিরা যে মাছ-মাংস এবং বিরিয়ানির পাশাপাশি মিষ্টি খেতেও অত্যন্ত পছন্দ করেন, সেটা বলাই বাহুল্য ৷ আধুনিক ‘জেন ওয়াই’ অবশ্য মিষ্টির প্রতি অতটা আসক্ত নয়। অনেকে তো আবার একেবারেই মিষ্টি খাওয়ার পক্ষপাতী নন। কারণ মানুষ এখন অনেক বেশি স্বাস্থ্য সচেতন। শরীরের ফ্যাট কমাতে অবশ্য মানুষ মিষ্টি খাওয়া ছেড়ে দিলেও ‘ফাস্ট ফুড’-কে পুরোপুরি বিসর্জন দিতে খুব একটা সহজে পারেন না। কিন্তু জানেন কি ? খাওয়ার শেষ পাতে মিষ্টি বা কোনও সুইট ডিশ খাওয়াটা স্বাস্থ্যের জন্য তেমন মন্দ নয়। সেটা কীভাবে ? জেনে নিন-

বিয়েবাড়ি-রেস্তোরাঁ, এমনকী বাড়িতেও প্রচুর পরিমানে ঝাল-মশলা যুক্ত খাবার খাওয়ার পর একটু মিষ্টি খেলে কিন্তু কোনো ক্ষতি নেই, বরং লাভই। যে কোনও মিষ্টি খাবার খেলেই শরীরে সেরিটোনিন নামের হরমোন ক্ষরিত হয়। এই হরমোন নিউরোট্রান্সমিটার হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ মিষ্টি খাবার খেলে আপনার মধ্যে সুখ ও আনন্দের অনুভূতি তৈরি হয়। এই অনুভূতি শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত জরুরি। যখনই আমরা কিছু খাই, তখন সেই ভুক্ত খাদ্যকে হজম করার জন্যে আমাদের শরীরের ভিতরে অ্যাসিড ক্ষরণ শুরু হয়। ঝাল বা তেলমশলাযুক্ত খাবার খেলে অ্যাসিড ক্ষরণের পরিমাণ বাড়ে।

অন্যদিকে মিষ্টিজাতীয় খাবার এই অ্যাসিড ক্ষরণের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। এর ফলে পরিপাকক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে পারে। এছাড়া বেশি পরিমাণে ভাজাপোড়া খাওয়ার পর শরীরের রক্তচাপ অনেকাংশেই কমে যায়। সেইসময় মিষ্টি জাতীয় খাবার কিন্তু রক্তচাপকে স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। যা আপনাকে স্বস্তি এনে দেয়।

কিন্তু একইসঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে যে মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার শরীরে ফ্যাটের পরিমাণ বাড়াতে সবচেয়ে বেশি কার্যকর। ফলে বেশি পরিমাণে মিষ্টি খাওয়া কখনই ভাল নয়। আপনি যদি ভাবেন বাকি ফ্যাটযুক্ত খাবার না খেয়ে শুধু বেশি করে মিষ্টি খাবেন, সেটা কিন্তু একেবারেই ভাল আইডিয়া নয়। কারণ মিষ্টি বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে শরীরে মেদ জমবে, যা ভবিষ্যতে একাধিক রোগ নিয়েই হাজির হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *