যৌতুকের জন্য নির্যাতন শ্রীপুরে বালিশ চাপায় গৃহবধু হত্যার অভিযোগ

Slider গ্রাম বাংলা

xe703tm243qn67dead-body
রাতুল মন্ডল,শ্রীপুর (গাজীপুর)প্রতিনিধিঃ
পাঁচলাখ টাকা যৌতুকের দাবীতে গৃহবধু লাকি আক্তার (২৩) কে নির্যাতন করে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের রাজারাম পুর গ্রামে।
নিহত লাকি আক্তার উপজেলার চিনাশুকানিয়া গ্রামের আতাউলের কন্যা। সন্ধ্যা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহিদ তাজ উদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সরেজমিনে নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায় আনুমানিক তের মাস পূর্বে রাজারামপুর গ্রামের কমরুদ্দিনের পুত্র তানভীর আহাম্মদ কাওছারের সাথে লাকির প্রেম করে বিয়ে হয়। কিছুদিন পর থেকে স্বামী ও শশুর বাড়ীর লোক জন যৌতুকের জন্য লাকিকে নির্যাতন করতে থাকে। লাকির মা জানান মেয়ের সুখের কথা ভেবে সাত আটমাস পূর্বে ১লাখ টাকা যৌতুক প্রদান করেন। পাঁচ ছয়মাস যাবৎ লাকির স্বামী কাওছার,শশুর কমরউদ্দিন, শাশুরী কামরুন্নাহার ও ননদ তানিয়া মিলে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুকের দাবীতে লাকির উপর নির্যাতন করে আসছে। লাকির মামাতবোন শাহনাজ জানায় মঙ্গলবার দুপুরে তারা জানতে পায় লাকি মারা গেছে। পরিবারের লোকজন এসে দেখে বিছানার উপর লাকির মরদেহ পরে আছে। স্বামী শাশুরী ননদ পালিয়ে গেছে। লাকির ঘরেরকোনে এটি ওড়না ঝুলানো। শশুর কমর উদ্দিন তাদের কে জানিয়েছেন লাকি ঝুলানো ওড়নাতে ফাঁসিতেঝুলে আতœহত্যা করেছে। নিহতের মা বাবা অভিযোগ করে বলেন ওই বাড়ীর এক শিশু তাৎক্ষনিক ভাবে তাদরে বলেছে কাওছার লাকিকে বালিশ চাপাদিয়ে হত্যা করেছে। তাদের অভিযোগ লাকিকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। লাশের গায়ে আতœহত্যার কোন লক্ষণ ছিলনা।
ঘটনার পর বাড়ীর লোকজন লাশ ফেলে পালিয়ে গেছে। নিহতের স্বজনরা জানায় স্থানীয় একটি প্রভাব শালী মহল ঘটনাটি ধামা চাপাদিতে তৎপরতা চালায়। আপোষ মিমাংসারর জন্য দিন ভর পুলিশকে না জানিয়ে দফারফা চেষ্টা করে। নিহতের শশুর কমর উদ্দিন তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাকে কেও নির্যাতন করেনি। কেন লাকি আতœহত্যা করেছে তা তার জানা নেই। সন্ধ্যায় শ্রীপুর থানা পুলিশ খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম মোল্লাহ্ জানান, ময়না তদন্তের পর মৃত্যূর কারণ নিশ্চিত করে বলা যাবে।নিহতের পরিবারের পক্ষথেকে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে আইন গত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাতুল মন্ডল
১/৮/১৭

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *