আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, সেটা সুপ্রিম কোর্ট নিতে চায়। আমি কী করে তা দিই?’ গতকাল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। উল্লেখ্য, নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালার সংশোধিত খসড়া নিয়ে সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল মতিন খসরু, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমসহ আইনজীবী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ওনারা (সুপ্রিম কোর্ট) মাসদার হোসেন কেসে ডিসিপ্লিনারি রুলসের কথা বলেছেন। কেউ কিন্তু ডিসিপ্লিনারি রুলস করেনি। আমি আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পরে এ রুলসটা করেছি। ’ তিনি বলেন, ‘তারা (সুপ্রিম কোর্ট) সংশোধন করে যেটা দিয়েছিল সেখানে দেখা গেছে, আমার কাছে ডকুমেন্ট আছে, ১১৬ অনুচ্ছেদে মহামান্য রাষ্ট্রতির যে ক্ষমতা সেটা তারা নিয়ে নিতে চায়। আমি কী করে সেটা দিই?’ আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বললাম আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আসেন শেষ করে দিই। আমি একটা ড্রাফট পাঠিয়েছি। আপনারা কারেকশন করে দিয়েছেন। আমরা সেটার ওপরে সেইটুকু হাত লাগিয়েছি। যেইখানে মহামান্য রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে ১১৬ অনুচ্ছেদ (বিচার-কর্মবিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিদের এবং বিচারবিভাগীয় দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বিধান রাষ্ট্রপতির উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং সুপ্রিম কোর্টের সহিত পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তাহা প্রযুক্ত হইবে। ) মতে, সেইটা আমি শুধু বলছি না, এটা দেওয়া যাবে না। ওটা ফেরত পাঠিয়েছে। আমি তো এসে ওনাকে দিয়েছি। আমি তো এমন না পিয়ন বা আমার সচিবকে দিয়ে ওনার কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। আমি নিজে এসে ওনাকে (প্রধান বিচারপতি) দিয়েছি। বলেছি আপনি পড়েন আপনি দেখেন। তার পরে যদি কোনো বক্তব্য থাকে আমাকে জানান। তার পরেও আলোচনা করব। কিন্তু সেটি না করে উনি এজলাসে উঠে বলেন যে, হাই কোর্টটা তাহলে উঠিয়ে দেন। হাই কোর্ট তো বঙ্গবন্ধু করে দিয়ে গেছেন। আমরা কী করে উঠিয়ে দেব। তাহলে এ কথা কি অপ্রাসঙ্গিক নয়?’ আনিসুল হক বলেন, ‘তিনি প্রধান বিচারপতি। আমার তার প্রতি যথেষ্ট সম্মান আছে। আমি সেই সম্মান ও অধিকার রেখে মাননীয় প্রধান বিচারপতিকে বলতে চাই, আমি তো হাই কোর্ট সুপ্রিম কোর্ট উঠানোর কথা বলিনি। ডিসিপ্লিনারি রুলস দিয়ে হাই কোর্ট সুপ্রিম কোর্ট ওঠে না। আপনার এজলাসে বসে এগুলি বলার তো দরকার হয় না। আলাপ-আলোচনা তো আমি করবই। আমি যশোরে ছিলাম। ওনার কথা শুনে আমি ফোন করে বলেছি আমি বৃহস্পতিবারে বসব। আমাদের সদিচ্ছা আছে। ’