রাজধানীর বাড্ডায় ৪ বছরের শিশু তানহাকে খাবারের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় বলে স্বীকার করেছে অভিযুক্ত শিপন (৩৫)।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন এ তথ্য জানান।
এর আগে, রবিবার সন্ধ্যায় বাড্ডার আদর্শ নগর এলাকার ৩৬০ নম্বর বাসা থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের রাতেই অভিযান চালিয়ে ঘাতক শিপনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় আসামির ঘর থেকে শিশুটিকে ধর্ষণের আলামত হিসেবে রক্ত মাখা একটি তোয়ালে ও কাপড় উদ্ধার করা হয়। পরে রাতে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল বাতেন বলেন, রবিবার বিকেল ৫টার দিকে শিশু তানহা আসামি শিপনের ঘরের সামনে দিয়ে পাশের বাসায় যাচ্ছিলো। কৌশলে খাবারের লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে ঘরের ভেতরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে শিপন। এসময় শিশুটি চিৎকার করলে গলা চেপে ধরে তাকে হত্যা করে সে। এরপর মরদেহ ওই বাসার বাথরুমে ফেলে পালিয়ে যায় শিপন।
আব্দুল বাতেন আরও বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এবারই প্রথম অপরাধে জড়ায়নি শিপন। এর আগে, ডাকাতির এক মামলায় পাঁচ বছর জেলও খেটেছে সে। এক বছর আগে কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে দিনমজুরের কাজ শুরু করে।