‘পা ধরে বাঁচার আকুতি জানিয়েছি, কিন্তু ওরা শোনেনি’

Slider টপ নিউজ

BD-Protidinবগুড়ায় ধর্ষিতা ও তার মা’কে নির্যাতনের সময় পা ধরে বাঁচার আকুতি জানালেও তারা পেটাতে থাকে বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতা ওই ছাত্রী। হাসপাতালে বেডে শুয়ে সেদিনকার তুফান পরিবারের বর্বরতার কথা বর্ণনা করার সময় একথা জানান ওই ধর্ষিতা।

গণমাধ্যমকে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি বলেন, শালিসের কথা বলে প্রথম দফা নির্যাতনের পর দ্বিতীয় দফায় নির্যাতন করা হয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও তুফানের স্ত্রীর বোন মার্জিয়া হাসান রুমকির বাসায়। সেখানে যাওয়ার পর পরই তুফানের স্ত্রী আশা গুণ্ডা নিয়ে হাজির হয়।

”এরপর কিছু বুঝার আগেই আমি ও আমার মাকে পেটাতে থাকে। এ সময় তাদের পা ধরে বাঁচার আকুতি জানিয়েছি। কিন্তু ওরা কোনো কথাই শুনছিল না। ”

ওই ধর্ষিতা আরও বলেন, এরপর রুমকি, আশা ও তাদের ক্যাডাররা মিলে আমার ও আমার মায়ের মাথার চুল কেটে ছোট করে দেয়। পরে নাপিত ডেকে এনে মাথা ন্যাড়া করে দেয়। সবশেষে ওরা আমাদের একটি রিকশায় তুলে বগুড়া শহর ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। অন্যথায় এসিড দিয়ে ঝলসে দেয়ারও হুমকি দেয়।

প্রসঙ্গত, বগুড়ার এক ছাত্রীকে কলেজে ভর্তি করানোর নামে বাড়ি ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শহর শ্রমিক লীগের নেতা তুফান সরকার বিরুদ্ধে। কিন্তু পরে তুফানের স্ত্রী আশা ও তার বোন সংরক্ষিত আসনের স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার মর্জিয়া হাসান রুমকি শালিসের নামে বাসায় নিয়ে তাদের ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *