অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের রাঘব বোয়ালরা জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সিনিয়র সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ। আজ রবিবার রাতে জাতীয় সংসদে কার্যপ্রনালী বিধির ৭১ বিধিতে জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ নোটিশে তিনি এই অভিযোগ উত্থাপন করেন। তিনি ওই সকল দুর্নীতিবাজদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
সংসদে উত্থাপিত নোটিশে বিরোধী দলের ওই নেতা বলেন, ভিওআইপি লাইসেন্সের অপব্যবহার করে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হচ্ছে। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী রাজধানীর বিভিন্ন ঘরবাড়ি, এপার্টমেন্ট ভাড়া নিয়ে অবৈধভাবে ভিওআইপি সরঞ্জাম স্থাপন করে বৈদেশিক কল চুরি করে যাচ্ছে। এসব অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের রাঘব বোয়ালরা জড়িত। এ ছাড়া বিটিআরসি ও বিটিসিএল এর কিছু দুর্নীতি পরায়ণ কর্মকর্তা কর্মচারীরাও এর সঙ্গে জড়িত। নোটিশে তিনি ওই সব অবৈধ লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা এবং দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
নোটিশের জবাবে সংসদ কাজে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ বিষয়ে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বলেন, আন্তর্জাতিক কল টারমিনেশন রেট ১ দশমিক ৫ নির্ধারণ ও নিয়মিত অভিযান পরিচালনার কারণে অবৈধ ভিওআইপি কার্যক্রম বিলুপ্তির পথে। তিনি আরো বলেন, ভিওআইপির অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে সরকার সর্বদা সক্রিয়। অভিযান পরিচালনার জন্যে ২৭ সদস্যের কমিটির রয়েছে। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২৭৩টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অবৈধদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
নোটিশের জবাবের পর ফিরোজ রশীদ মন্ত্রীকে জানান, দেশের ১১ কোটি মানুষ মোবাইল ব্যবহার করেন। ভিওআইপি লাইসেন্স নিয়ে অবৈধভাবে প্রতিদিন ১৩ কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকি হচ্ছে। মাসে ৪০০ কোটি টাকা এবং বছরে পাঁচ হাজার কোটি টাকা থেকে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি আরো জানান, ১০ কোটি মিনিট কল চুরি হয়। বাংলাদেশে আসা কলের পরিমাণ ১৪ কোটি মিনিট। সরকারি হিসাবে চার কোটি মিনিট-আইজিডাব্লিউর ২৯টি লাইসেন্স নিয়ে এই ১০ কোটি কল চুরি হয়। এতে সরকার প্রতিদিন ১৩ কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না? বিশেষ করে টাকা আদায় ও লাইসেন্স বাতিল করা হকে কি না? তা জানতে চান।
এ বিষয়ে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রশ্নটা হচ্ছে সরকার এ ব্যাপারে উদাসীন কি না? সরকার কিন্তু দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সরকার কিছু কঠিন পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে। এ খাতে সরকারের আদায় করা রাজস্বের বিভিন্ন পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে দাবি করেন।
সংসদে উত্থাপিত নোটিশে বিরোধী দলের ওই নেতা বলেন, ভিওআইপি লাইসেন্সের অপব্যবহার করে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হচ্ছে। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী রাজধানীর বিভিন্ন ঘরবাড়ি, এপার্টমেন্ট ভাড়া নিয়ে অবৈধভাবে ভিওআইপি সরঞ্জাম স্থাপন করে বৈদেশিক কল চুরি করে যাচ্ছে। এসব অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের রাঘব বোয়ালরা জড়িত। এ ছাড়া বিটিআরসি ও বিটিসিএল এর কিছু দুর্নীতি পরায়ণ কর্মকর্তা কর্মচারীরাও এর সঙ্গে জড়িত। নোটিশে তিনি ওই সব অবৈধ লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা এবং দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
নোটিশের জবাবে সংসদ কাজে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ বিষয়ে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বলেন, আন্তর্জাতিক কল টারমিনেশন রেট ১ দশমিক ৫ নির্ধারণ ও নিয়মিত অভিযান পরিচালনার কারণে অবৈধ ভিওআইপি কার্যক্রম বিলুপ্তির পথে। তিনি আরো বলেন, ভিওআইপির অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে সরকার সর্বদা সক্রিয়। অভিযান পরিচালনার জন্যে ২৭ সদস্যের কমিটির রয়েছে। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২৭৩টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অবৈধদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
নোটিশের জবাবের পর ফিরোজ রশীদ মন্ত্রীকে জানান, দেশের ১১ কোটি মানুষ মোবাইল ব্যবহার করেন। ভিওআইপি লাইসেন্স নিয়ে অবৈধভাবে প্রতিদিন ১৩ কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকি হচ্ছে। মাসে ৪০০ কোটি টাকা এবং বছরে পাঁচ হাজার কোটি টাকা থেকে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি আরো জানান, ১০ কোটি মিনিট কল চুরি হয়। বাংলাদেশে আসা কলের পরিমাণ ১৪ কোটি মিনিট। সরকারি হিসাবে চার কোটি মিনিট-আইজিডাব্লিউর ২৯টি লাইসেন্স নিয়ে এই ১০ কোটি কল চুরি হয়। এতে সরকার প্রতিদিন ১৩ কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না? বিশেষ করে টাকা আদায় ও লাইসেন্স বাতিল করা হকে কি না? তা জানতে চান।
এ বিষয়ে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রশ্নটা হচ্ছে সরকার এ ব্যাপারে উদাসীন কি না? সরকার কিন্তু দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সরকার কিছু কঠিন পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে। এ খাতে সরকারের আদায় করা রাজস্বের বিভিন্ন পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে দাবি করেন।