বগুড়ায় ছাত্রীকে ধর্ষণের পর ধর্ষিতা ও তার মা’র মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনার প্রধান আসামি তুফানের স্ত্রী আশা সরকারসহ গ্রেফতার তিনজনকে বগুড়া পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সোমবার সকালে বগুড়া থানা পুলিশ গ্রেফতার করা তিন আসামিকে নিয়ে যায় বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম।
এর আগে, রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে গাড়িচালক জিতু ও তুফানের সহযোগী মুন্নাসহ আশা সরকারকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের বহন করা একটি প্রাইভেটকারও জব্দ করে পুলিশ।
খোরশেদ আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশের একটি দল ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের হেমায়েতপুর এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারা সাভারের হেমায়েতপুর এলাকায় এসে পৌঁছলে সিলভার কালারের একটি প্রাইভেটকারসহ তাদের আটক করা হয়। পরে বিষয়টি বগুড়া থানা পুলিশকে জানানো হলে তারা এসে সকালে গ্রেফতারকৃত তিন আসামিকে নিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, বগুড়ার এক ছাত্রীকে কলেজে ভর্তি করানোর নামে বাড়ি ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শহর শ্রমিক লীগের নেতা তুফান সরকার বিরুদ্ধে। কিন্তু পরে তুফানের স্ত্রী আশা ও তার বোন সংরক্ষিত আসনের স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার মর্জিয়া হাসান রুমকি শালিসের নামে বাসায় নিয়ে তাদের ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে।