‘এখন যথেষ্ট ভালো খেলছি। যেকোনো সময় একটি টুর্নামেন্ট জেতা অসম্ভব নয়। সেটি শুধু সময়ের ব্যাপার।’
কয়েক দিন আগে প্রথম আলোকে বলেছিলেন গলফার সিদ্দিকুর রহমান। সেই ‘সময়টা’ কাল প্রায় এসেই গিয়েছিল জার্মানির হামবুর্গে। পোরশে ইউরোপিয়ান ওপেনের শেষ দিনে অসাধারণ খেলে একপর্যায়ে শীর্ষেও উঠে গিয়েছিলেন সিদ্দিকুর।
শেষ পর্যন্ত ট্রফি জেতা হয়নি। আশা জাগিয়েও সিদ্দিকুর পোরশে ইউরোপিয়ান ওপেনে যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছেন।
অথচ পরশু তৃতীয় রাউন্ড শেষে সিদ্দিকুর ছিলেন দশম স্থানে। সেখান থেকেই কাল অসাধারণ খেলে একপর্যায়ে লিডারবোর্ডের শীর্ষে উঠে এসেছিলেন বাংলাদেশের গলফার। শেষ রাউন্ডে কাল একটিও বগি করেননি সিদ্দিকুর, বরং বার্ডি করছেন চারটি। ১৮তম হোলের দ্বিতীয় শটটা জলাশয়ে না পড়লে এককভাবেই হয়তো তৃতীয় হতে পারতেন এশিয়ান ট্যুরের দুবারের চ্যাম্পিয়ন। চার রাউন্ড মিলিয়ে পারের চেয়ে ১১ শট কম খেলে সুইডেনের ইয়োহান এডফর্সের সঙ্গে যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছেন।
২০ লাখ ইউরোর এই ইউরোপিয়ান ট্যুরের এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ইংল্যান্ডের জর্ডান স্মিথ। স্মিথের সমান পারের চেয়ে ১৩ শট কম খেলেছিলেন ফ্রান্সের আলেক্সান্ডার লেভিও। দুই হোলের রোমাঞ্চকর প্লে-অফের মাধ্যমেই আলাদা করা গেছে তাঁদের।
কাল প্রথম ১২ হোলেই চারটি বার্ডি করে দুইয়ে উঠে আসেন সিদ্দিকুর। ১৩ নম্বর হোলে পারের সমান খেললেও ওই হোল শেষেই যৌথভাবে শীর্ষ উঠে আসেন বাংলাদেশের ৩২ বছর বয়সী গলফার। ১৪ নম্বর হোল শেষে দুইয়ে নেমে যাওয়া সিদ্দিকুর আবার শীর্ষ ওঠেন ১৬তম হোলে। তবে তৃতীয় রাউন্ড শেষের ফলের ভিত্তিতে কিছুটা পরে দিনের খেলা শুরু করা লেভি-স্মিথরা এরপর তাঁকে ছাড়িয়ে যান।
১৮তম হোলে সিদ্দিকুরের প্রথম শটটা পড়ে ফেয়ারওয়ের কিছুটা বাইরে লম্বা ঘাসের ভেতরে। সেখানে দ্বিতীয় শটটা খেলতে গিয়েই বিপত্তি, বলটা গিয়ে পড়ে জলাশয়ে। ফলে জরিমানা গুনতে হয় এক শট। এরপর দারুণ দুটি শটে পারের সমান খেলেই শেষ হোলটা শেষ করেন সিদ্দিকুর।
লিডারবোর্ড
দেশ স্কোর
১ জর্ডান স্মিথ ইংল্যান্ড -১৩
২ আলেক্সান্দার লেভি ফ্রান্স -১৩
৩ সিদ্দিকুর রহমান বাংলাদেশ -১১
ইয়োহান এডফর্স সুইডেন -১১
৫ ইয়েন্স ফারব্রিং সুইডেন -১০
আদ্রিয়ান ওতেগি স্পেন -১০
জ্যান্ডার লোম্বার্ড দক্ষিণ আফ্রিকা -১০