মার্জিন ঋণখেলাপীদের নাম সিআইবিতে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব

অর্থ ও বাণিজ্য
indexঢাকা, নভেম্বর ২৩: মার্জিন ঋণখেলাপীদের তালিকা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি) অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে প্রস্তাব দিয়েছে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)। কোনো বিনিয়োগকারীর মার্জিন ঋণ এক কোটি টাকা খেলাপী হলে সিআইবিতে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। রোববার এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব বিএসইসির কাছে পাঠিয়েছে বিএমবিএ। বিএমবিএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, ব্যাংকিং ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণগ্রহীতাদের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবিতে সংরক্ষিত থাকে। কিন্তু মার্চেন্ট ব্যাংকে যারা মার্জিন ঋণখেলাপী, তাদের তথ্য সিআইবিতে সংরক্ষিত থাকে না। ফলে মার্জিন ঋণখেলাপী গ্রাহক একাধিক মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারেন তথ্য গোপন করে। এ প্রবণতা ঠেকাতে এবং বর্তমানে বিপুল পরিমাণ বকেয়া মার্জিন ঋণের চাপে বিপর্যস্ত মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো বাধ্য হয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।
প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, বড় ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে ঋণ আদায়ে আর কোনো বিকল্প উপায় নেই মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর। কিন্তু বিপুল পরিমাণ মার্জিন ঋণের ভারে বেশীরভাগ মার্চেন্ট ব্যাংকের অবস্থা নাজুক। তাই ঋণ আদায় জরুরী হয়ে পড়েছে।
চিঠিতে নিজস্ব পত্রকোষে (পোর্টফোলিও) বিনিয়োগের লোকসান এবং অনাদায়ী মার্জিন ঋণের বিপরীতে সঞ্চিতি রাখার ক্ষেত্রে বিদ্যমান ছাড়ের মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ জন্য বেশ কয়েকটি প্রস্তাব করা হয়েছে প্রস্তবনায়। এর মধ্যে রয়েছে ঋণাত্মক ইক্যুইটির হিসাবে সুদ আরোপ বন্ধ রাখা এবং ওই সুদকে আয়-ব্যয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত না করা। এ ছাড়া ঋণ-মূলধন অনুপাত ৫০ শতাংশের নিচে নেমে এলে সংশ্লিষ্ট মার্চেন্ট ব্যাংক পর্যায়ক্রমে এ সব হিসাবের সব শেয়ার বিক্রি করে হিসাবগুলো বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা চেয়েছে।
তবে তার আগে গ্রাহককে চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি জানাবে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো। এ জন্য গ্রাহককে একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেবে এ সব প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি মীমাংসা করারও প্রস্তাব দেওয়া হবে প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে। গ্রাহক সাড়া না দিলে কিংবা বিনিয়োগকারী ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মতৈক্য না হলে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান তার এখতিয়ার অনুসারে যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিএমবিএর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো কোনোভাবেই আর কোনো হিসাবকে নেগেটিভ ইক্যুইটিতে নেমে যেতে দেবে না। ঋণ-মূলধন অনুপাত ১০ শতাংশ কমলেই বিনিয়োগকারীকে তা সমন্বয়ের জন্য জানানো হবে। তিনি সাড়া না দিলে সংশ্লিষ্ট মার্চেন্ট ব্যাংক শেয়ার বিক্রি করে তা সমন্বয় করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *