অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় বিপর্যস্ত চীনের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল। দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশের চেয়ে চীনের বন্যা পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ। এ বছরের বিরূপ আবহাওয়ার কবলে পড়ে জুন থেকে এখন পর্যন্ত দেড় কোটি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।
দেশটির জিয়াংসি প্রদেশে এ পর্যন্ত ৪৩ কোটি মার্কিন ডলারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রতিবেশী হুনান প্রদেশে ৫৩ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একশত মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন, তারা নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গবেষকদের মতে, অতিবৃষ্টির কারণে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ -পূর্ব এশিয়ায় হিমালয়ের তিন নদী গঙ্গা , ব্রহ্মপুত্র ও ইয়াংতেসকে কেন্দ্র করেই প্লাবনের আশঙ্কা সবচেয়ে প্রবল। ভারত ও বাংলাদেশের অর্ধেক বাসিন্দা এবং চীনের জনসংখ্যার প্রায় ২৫ শতাংশই এই নদীগুলির অববাহিকায় থাকেন। কাজেই বন্যায় যে কোনও সময়েই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন তারা৷ বর্ষা মৌসুম আসতে না আসতে সে আশঙ্কা সত্যি হয়ে ওঠল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গেছে, তিব্বত, হুনান প্রদেশসহ অনেক অঞ্চলে নদী ভাঙ্গনের ফলে অনেক বাড়িঘর, স্থাপনা তলিয়ে গেছে পানির নিচে। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থার, যার কারণে ত্রাণ সহায়তা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষের, উদ্ধারকার্য ব্যহত হচ্ছে অধিক বন্যার কারণে।
এ বছর এশিয়ার এ অঞ্চল জুড়ে রেকর্ড পরিমান বৃষ্টি হওয়ায় চীন, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বন্যা সৃষ্টি হয়।