বড় ইচ্ছা ছিল স্ত্রী সুন্দরী প্রতিযোগিতায় সেরা হবে। তবে সাধ্য ছিল না। কিন্তু তাই বলে শিক্ষক হয়ে এমন কাজ যে তিনি করে বসবেন, তা সত্যিই ভাবতে পারেননি তাঁর পরিচিতরা। ইচ্ছেপূরণের তাগিদেই শপিংমল থেকে দামি শাড়ি চুুরি করেন। আর সেই অপরাধে তাকে এখন যেতে হলো শ্রীঘরে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, ছত্রিশগড়ের বিলাসপুর জেলার সরকন্দা এলাকার বাসিন্দা শ্রীকান্ত গুপ্তা। বিয়ের পর থেকে একটাই ইচ্ছে ছিল তাঁর জীবনে। স্ত্রী প্রমীলা (২৬) যেন স্থানীয় ‘সাওন সুন্দরী’ প্রতিযোগিতায় সেরা হন। কিন্তু সুন্দরী হতে গেলে তো একটু সাজগোজও প্রয়োজন। সেই সঙ্গে প্রয়োজন দামি পোশাকও। এর জন্য নামী শপিং মলেও গিয়েছিলেন শ্রীকান্ত। কিন্তু ডিজাইনার শাড়ির যা দাম দেখলেন, সামান্য স্কুলশিক্ষকের চাকরিতে সে টাকা দিয়ে শাড়িটি কেনা অসম্ভব ছিল তাঁর পক্ষে। তা বলে কি স্ত্রী সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে না? সে কেমন করে হতে পারে? এই ভেবেই শেষে চুরির ফন্দি আঁটেন মাস্টারমশাই।
পরিকল্পনা অনুযায়ী শাড়ি চুরিও করেন। কিন্তু সেই শাড়িটি পরেই শ্রীকান্তের স্ত্রী প্রমীলা যখন ‘সাওন সুন্দরী’ প্রতিযোগিতার মঞ্চে আসেন, তখনই ধরা পড়ে যান। এক দর্শক শাড়িটি দেখে চিনতে পারেন। তিনিই শাড়ির দোকানের মালিককে খবর দেন। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন দোকানমালিক। আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছেন শ্রীকান্ত। গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁর স্ত্রীকেও।