এম আরমান খান জয়,গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ কোটালীপাড়া ইউনিয়ন ইনষ্টিউশনের শহীদ মিনার ভাংচুরের ভিডিও ফুটেজ সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে । দোষীদের গ্রেফতারের জন্য মাঠে নেমেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই ভিডিও ফুটেজ সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে দু’ যুবক ওই স্কুলের শহীদ মিনারে লাথি মারছে। এক পর্যায়ে তারা শহীদ মিনারের কিছু অংশ ভেঙ্গে হাতে নিয়ে তা উচু করে উল্লাস করছে। এ ঘটনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সব মহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছেন। গত শনিবার ওই স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্র সাকিব শেখকে ক্লাস থেকে ৭ দিনের জন্য মৌখিক বহিস্কারের ঘটনায় রোববার সহকারী প্রধান শিক্ষক মতিয়ার হোসেনকে লাঞ্ছিত ও প্রধান শিক্ষকের কক্ষ ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনায় ৪ জননের নাম উল্লেখ সহ আরো ৫/৭ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে কোটালীপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ এ মামলায় গ্রেফতারকৃত সাকিব শেখকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিমাংশু কুমার পান্ডে বলেন, শহীদ মিনারের অবমাননা ও আংশিক ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জনানো হয়েছে। পুলিশ ভিডিও ফুটেজ দেখে দোষীদের চিহ্নিত করতে কাজ করছে। কোটালীপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুল ফারুক বলেন, রোববার স্কুলে ভাংচুর ও সহকারী শিক্ষককে লাঞ্ছিত করা হয়। ওই দিন শহীদ মিনার অবমাননা ও আংশিক ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। ভিডিও চিত্র দেখে আমরা দু’ যুবককে চিহ্নিত করেছি। তাদের নাম ঠিকানা আমাদের কাছে আছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করা যাচ্ছেনা। আমরা অভিযান চালিয়ে ওই দু’জনকে আটক করব। এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করা হবে।
এম আরমান খান জয়,গোপালগঞ্জ
তারিখ : ২৬.০৭.২০১৭