গত বছরই মিস আর্থ ইন্টারন্যাশনাল প্রতিযোগিতার মুকুট মাথায় ওঠে বাংলাদেশের মেয়ে মাকসুদা আক্তার প্রিয়তির। তার আগে মিস আয়ারল্যান্ড হওয়ার গৌরবও অর্জন করেছেন তিনি। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনামের সঙ্গে মডেল হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন এ গ্ল্যামারাস কন্যা। আয়ারল্যান্ডের একাধিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিচারকের দাায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। এর বাইরে আয়ারল্যান্ডের সিনেমায়ও কাজ করছেন। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের মেয়ে হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গন এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রিয়তি। সম্প্রতি পুরো শরীরে চিত্রকর্ম উপস্থাপনের মধ্যে দিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন এ তারকা। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রশংসিত হচ্ছেন তিনি। এ চিত্রকর্মটির মূল্য বাংলাদেশের ২০ লাখ টাকার সমমান। একদিনেই এই চিত্রকর্মটি আঁকতে এই মূল্য ব্যয় হয়েছে। একটি বিশেষ ফটোশুটের জন্যই এই চিত্রকর্মটি করা হয়। ফটোশুটটি করেছেন আইরিশ তারকা স্থপতি আলফ্রেড কোচরেন ও তার টিম। আর বডি পেইন্টিংয়ের আর্টিস্ট ছিলেন জার্মানির বিয়াঙ্কা। ফুলের কারুকাজ-সজ্জিত পোশাকটি আনা হয়েছে হলিউড থেকে। এ ছবিটির জন্য বেশ বাহবা পাচ্ছেন প্রিয়তি। এ বিষয়ে প্রিয়তি বলেন, শরীর দেখানো আসলে কোনো সাহসিকতা নয়। বরং তা জোরালো আত্মবিশ্বাস নিজের শরীরের প্রতি। শরীর দেখানোর মতো শরীর থাকতে হয় এবং সেই শরীর দেখার জন্য চার দেয়ালের বাইরের পৃথিবীতে দৃষ্টি থাকতে হয়। গর্বও তখন হয় যখন আত্মবিশ্বাস থাকে তার প্রধান শাখা। আমার সব কাজের মধ্যে যেগুলো ব্যতিক্রমী কাজ আছে তার জন্য আমি বলবো আমি সত্যি ভাগ্যবান ও সম্মানিত। বিধাতার কাছে কৃতজ্ঞ। এত আইরিশ তারকাদের মধ্যে আমার মতো একজন এশিয়ান মডেল নির্বাচনা করা এবং ভিড়ে একা নিজের অবস্থান শক্ত করা সহজ নয়। আমি কৃতজ্ঞ বাংলাদেশের গণমাধ্যমের প্রতিও। যারা আমার কাজগুলোকে ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করেছেন। এদিকে মডেলিং দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতি পেলেও প্রিয়তির প্রধান পেশা হলো একজন বৈমানিক হিসেবে। মূল পেশা ও মডেলিং ছাড়াও সামাজিক সচেতনতা তৈরিতেও ভূমিকা রাখছেন প্রিয়তি। বাংলাদেশের বঞ্চিত মানুষদের দিকে আর্থিক ও মানসিক সহায়তার হাত নিয়মিতই বাড়িয়ে দিয়ে থাকেন তিনি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এর মাধ্যমে এবং ব্যক্তিগত-ভাবে বঞ্চিত, অসহায় মানুষদের জন্য তার মন কাঁদে। আর সে কারণেই নিজের মডেলিংয়ের পুরো আয়ই এ ধরনের মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিয়ে শান্তি খুঁজে পান বাংলাদেশের মেয়ে প্রিয়তি।