নাটোর সদর উপজেলার দত্তপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করে সেই ভিডিও প্রচার করায় ওই ছাত্রীর বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে।
দত্তপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র মুক্তার প্রতিনিয়ত ওই ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করতো। বিষয়টি ওই ছাত্রীর অভিভাবকরা মুক্তারের পিতাকে জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৬ জুলাই ওই ছাত্রী পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় মুক্তার তাকে যৌন নির্যাতন করে। সেটা সেলফোনে ভিডিও করে মুক্তারের সহযোগী মামুন। পরিবারকে অভিযোগ দেওয়ার খেসারত হিসেবে পরবর্তীতে ৪৪ সেকেন্ডের সেই ভিডিওটি এলাকার সকলের মোবাইলে ছেড়ে দেয় মুক্তার ও মামুন। পরের দিন ১৭ জুলাই মুক্তার ওই ছাত্রীকে উক্ত ভিডিওটি দেখিয়ে পুনরায় যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করলে ভয়ে সে পালিয়ে যায়। এরপর থেকে ওই ছাত্রীটি বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
এব্যাপারে দত্তপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস জানান, তিনি ভিডিওটি দেখেছেন। বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ ও শিক্ষকরা বিষয়টি নিয়ে ব্যাবস্থা গ্রহণ করবে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি রমজান আলী বলেন, নির্যাতিত ছাত্রীর পরিবারকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের পরিচলনা পর্ষদ ও শিক্ষকরা বৈঠকে বসে অভিযুক্ত মুক্তার ও মামুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান। এই ঘটনায় নির্যাতিত ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্ত মুক্তার ও মামুনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
এ বিষয়ে নাটোর থানার ওসি মশিউর রহমানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতে অভিযোগ পাওয়ার পরই মামলা নেয়া হয়েছে এবং অভিযুক্তদের আটকের জন্য অভিযান চলছে।