হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের বহুল আলোচিত চার শিশু হত্যা মামলায় তিন আসামির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সকাল সাড়ে ১১টায় এ রায় দেন সিলেটের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মকবুল আহসান।
এছাড়া ২ জনের ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনায় নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় ৩ জনকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- হাবীবুর রহমান আরজু, উস্তার মিয়া, রুবেল মিয়া। সাহেদ আহমদ এবং জুয়েল মিয়াকে ৭ বছর করে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। তবে মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন আব্দুল আলী বাগাল, বাবুল মিয়া এবং বিল্লাহ মিয়া। মামলার আসামি উস্তার মিয়া, বাবুল মিয়া ও বিল্লাহ পলাতক রয়েছেন।
আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে আসামিদের কারাগার থেকে কোর্ট হেফাজতে আনা হয়। পৌনে ১১টার দিকে বিচারক মো. মকবুল আহসান ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে তিনি রায় পড়া শুরু করেন। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মামলার রায় ঘোষণা করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে নিখোঁজ হয় হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের ৮ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশু জাকারিয়া আহমেদ শুভ, তাজেল মিয়া, মনির মিয়া ও ইসমাঈল হোসেন। নিখোঁজের ৫ দিন পর পার্শ্ববর্তী ইচাবিল নামক স্থান থেকে পুলিশ মাটিচাপা অবস্থায় তাদের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনার বাহুবল থানায় ৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন মনির মিয়ার বাবা আবদাল মিয়া। পুলিশ গ্রেফতার করে গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান আবদুল আলী বাগাল ও তার দুই ছেলেসহ ৬ জনকে।
এর মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত বাচ্চু র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হন। আবদুল আলীর দুই ছেলে রুবেল মিয়া ও জুয়েল মিয়া এবং আরজু মিয়া ও শাহেদ মিয়া হত্যাকাণ্ডে নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়।
গত বছরের ২৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির তৎকালীন ওসি মোক্তাদির হোসেন ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। চলতি বছরের ১৫ মার্চ মামলাটি সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।