পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে রাজধানীর রূপনগর ও কুষ্টিয়ায় চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার ভোর পৃথকস্থানে এসব ঘটনা ঘটে।
রূপনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মমিনুর রহমান গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ছিনতাইকারীদের নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে ডিবি পশ্চিম পল্লবী জোনাল টিমের সিনিয়র এসি শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রাইভেটকার নিয়ে রূপনগর এলাকায় ছিনতাইকারীরা অবস্থান নিয়েছে-এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা ওইখানে যাই। এক পর্যায়ে ছিনতাইকারীরা আমাদের অবস্থা টের পেয়ে গুলি চালায়। আমরাও আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুড়লে দুইজন নিহত ও দুইজন পালিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে দুইটি পিস্তল, একটি ছুড়া, একটি লোহার রড ও ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়। নিজেদের গুলিতেই তারা নিহত হয়েছেন।
এদিকে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর হোসেন খন্দকার জানান, ভোর রাত খবর পাওয়া যায় কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের দশমাইল এলাকায় একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরপর সেখানে অভিযান চালানো হয়।
এসময় ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে এক ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি শাটার গান, একটি গুলি, একটা গাছ কাটা করাত ও দুইটি রামদাসহ গাছের গুঁড়ি উদ্ধার করেছে।
নিহত ব্যক্তির নাম হাসানুজ্জামান ওরফে লালন (৩৫)। তিনি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মানিকদিয়া গ্রামের আলিম উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় অপর এক ডাকাত আহত হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, কুষ্টিয়া শহরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে অপর এক যুবক নিহত হয়েছেন। গভীর রাতে বাড়াদী গোরস্তানের কাছে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সোবহান কুমারখালী উপজেলার মনোহরপুর এলাকার মৃত নুর উদ্দিনের ছেলে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিনের দাবি, সোবহান আলী একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাকে আটকের পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গভীর রাতে বাড়াদি গোরস্তান এলাকায় তাকে সঙ্গে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ। এসময় আগ থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
পুুলিশ তাদের উপর পাল্টা গুলি চালালে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে সোবহান আলীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।