নিউজ ডেস্ক
গ্রাম বাংলা নিউজ২৪.কম
ঢাকা: জাপান সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি মনে করি কেবল নিরবচ্ছিন্ন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াই কোন দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারে’।
সোমবার সকালে জাপানের আকাসাকা প্রাসাদে জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি লীগের সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি একথা বলেন।
জাপান পার্লামেন্টের হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ সদস্য তাকিও কাওয়ামুরা জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্ট লীগের সদস্যদের নেতৃত্ব দেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল সাংবাদিকদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে, দু’দেশের আইনপ্রণেতারা বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো সুসংহত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ-জাপান বন্ধুত্ব জোরদারের অঙ্গীকারের জন্য জাপান-বাংলাদেশ সংসদীয় লীগের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুদৃঢ়, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও জনগণের ক্ষমতায়নের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক কল্যাণ নিশ্চিত করা।সরকার দেশের ঐতিহ্যবাহী ধর্মনিরপেক্ষতা ও সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনেও কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য জিডিপির হার ২০১৫ সালের মধ্যে ৮ শতাংশ ও ২০১৭ সালের মধ্যে ১০ শতাংশে উন্নীত করা। এই হার ধরে রেখে ২০২১ সালের মধ্যে আমরা দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে চাই। ২০১২-১৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশী এবং বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ দঁড়ায় ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
গোল্ডম্যান শ্যাসের মতে বাংলাদেশ তাদের ‘পরবর্তী এগারো’ দেশের তালিকায় এবং জেপি মরগান তাদের প্রথম ৫ দেশের তালিকায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করেছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে জাপানের জনগণের সমর্থনের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি প্রদানকারী কয়েকটি দেশের মধ্যে জাপান অন্যতম। তারা স্বাধীনতার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ১৯৭২ সালের ফেব্র“য়ারিতে আমাদের স্বীকৃতি দেয়। জাপানের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে এদেশ সফরে আসেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তাঁর ওই ঐতিহাসিক সফরের মাধ্যমেই দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক সুদৃঢ় হয় এবং সেই থেকে জাপান বাংলাদেশের একনিষ্ঠ উন্নয়ন অংশীদার ও বিশ্বস্ত বন্ধু।
প্রধানমন্ত্রী জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো এ্যাবের আমন্ত্রণে ৪ দিনের সরকারি সফরে রোববার টোকিও পৌঁছান। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী ১০৬ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। গুরুত্বপূর্ণ এ দ্বিপাক্ষিক সফরকালে ২ দেশের মধ্যে যৌথ ইশতেহার সই হওয়ার কথা রয়েছে।