বাংলাদেশে দমকল বাহিনী বলছে, গত এক বছরে সারা দেশে আঠারো হাজারেরও বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এবং এতে কমপক্ষে ৫৩ জন নিহত হয়েছেন। কর্মকর্তারা বলছেন, এসব অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতি হয়েছেছে ৪৩০ কোটি টাকার মতো। বেশিরভাগই ঘটেছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট, চুলার আগুন, ছুঁড়ে দেওয়া জ্বলন্ত সিগারেট ইত্যাদি থেকে। দমকল বাহিনীর এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমদ খান বলছিলেন, এসব অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আগুন লাগার
ঘটনা ঘটেছে বাসা বাড়ি বা রান্নাঘর থেকে। কলকারখানায় আগ্নিকাণ্ড ঘটেছে এক হাজারের মতো, আর দোকান-পাটে প্রায় দুই
হাজার। বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, অগ্নিকান্ডের কারণ প্রধানত ছিল বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট বা বিভিন্ন বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম। বাসাবাড়িতে গ্যাস লাইন থেকেও অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। মি. খান বলেন এখন দাহ্য পদার্থ ব্যবহারের পরিমাণ বেড়েছে এবং সে জন্য অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিও বেড়েছে। তিনি বলেন, দমকল বাহিনীর এখন সক্ষমতা বেড়েছে। ২০ তলা পর্যন্ত উঁচু ভবনে অগ্নিনির্বাপনের কাজ করার মত যন্ত্রপাতি ও সক্ষমতা অর্জন করেছেন তারা। ফায়ার স্টেশনের সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে। তবে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছার জন্য যানজট, পানির উৎস – এগুলো একটা বড় সমস্যা – বলেন তিনি।