আগস্টে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ বাতিল হলে বিকল্প কোনো ভাবনা নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গতকাল সংবাদ মাধ্যমকে এ কথা জানালেন বোর্ডের নির্বাহী প্রধান নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। একই সঙ্গে তিনি জানান, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ডের (সিএ) পক্ষ থেকে সফর বাতিলের কোনো বার্তা পায়নি বিসিবি। ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) অনুসারে, জুলাইয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই বাংলাদেশ সফর বাতিল করে পাকিস্তান। এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর এক মাসের লম্বা ছুটি কাটিয়ে মুশফিক-সাকিবরা এখন নিজেদের প্রস্তুত করছেন অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জন্য। কিন্তু গত শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ান মিডিয়াগুলোয় প্রকাশিত খবরে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজটি ঘিরে জেগেছে সংশয়। এতে বলা হয়েছে, বিসিবির কাছে সিরিজ বাতিলের বার্তা পাঠিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
যদিও খবরটি সত্য নয় বলে জানালেন বিসিবির সিইও। সফর বাতিল প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান বোর্ডের সঙ্গে কোনো আলাপ হয়নি। এমনকি এ নিয়ে কোনো চিঠিও পায়নি বোর্ড। সুজন বলেন, ‘সিরিজ বাতিল হওয়ার মতো কোনো বার্তা আমাদের কাছে নেই। আজ (গতকাল) ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। কিন্তু সিরিজ বাতিল হওয়ার মতো কোনো কথা হয়নি।’
আগামী ২৫ জুলাই বাংলাদেশ সফরে আসছে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধি দল। নিরাপত্তা বিষয়ে এটি তাদের ‘রুটিন সফর’। বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সুজন, ‘অস্ট্রেলিয়া সিরিজ নিয়ে আমরা আশাবাদী। ২৫ জুলাই অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসছে। এবার তারা আসছেন লজিস্টিক সাপোর্ট দেখতে। তাদের আসার অর্থ হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়া দলের বাংলাদেশ সফরের সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি ইতিবাচক। আশা করছি, একইভাবে অস্ট্রেলিয়া দলও বাংলাদেশ সফরে আসবে।’
পারিশ্রমিক ইস্যুতে সম্প্রতি বেশ দোদুল্য অবস্থায় রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট। দুই পক্ষের সমঝোতার লক্ষ্যে শুক্রবার জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করেন সিএর প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী অ্যালিস্টার নিকোলসন। তাদের বৈঠকটি কোনো ফলপ্রসূ সমাধান এনে দিতে পারেনি। তাই অস্ট্রেলিয়া দলের বাংলাদেশ সফর নিয়ে শঙ্কার কালো মেঘ যেন কাটতেই চাইছে না। তবে সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে বিসিবির নির্বাহীপ্রধান বললেন, ‘আমরা অস্ট্রেলিয়াকে হোস্ট করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। সেভাবেই আমরা কাজ করছি। আর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও নিশ্চয় সেভাবেই এগোচ্ছে।’
গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর বয়কট করে অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের খেলোয়াড়রা। বিকল্প হিসেবে আফগানিস্তান ‘এ’ দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে প্রোটিয়ারা। শেষ মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়া না এলে বিসিবি কি বিকল্প কিছু ভেবে রেখেছে? প্রধান নির্বাহীর কথায় তেমন কিছুর আভাস মিলল না।