এম এ কাহার বকুল; লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ, ঢাকায় চাকুরী মোবাইল ফোনে প্রেম ভালবাসার মানুষটির প্রেমের মুল্য দিতে চলে আসে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় এক গার্মেন্টস কর্মী আর সেই ভালবাসার মানুষ মিলে ৫জন উপজেলার শালবনে নিয়ে ধর্ষণকরে পালাক্রমে নিরুপায় হয়ে থানায় অভিযোগ করলে প্রেমিকের সহযোগী বুলু নামের ( ৩৮) এক অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে,বুধবার রাতে উপজেলার নওদাবাস এলাকার শালবনে বুলুসহ ৫ জন পলাক্রমে ধর্ষণ করে ২২ বছর বয়সী ওই নারীকে। গত বৃহস্পতিবার ধর্ষণের শিকার ওই নারী হাতীবান্ধা থানা পুলিশের কাছে এসে অভিযোগ জানালে শুক্রবার বিকেলে ধর্ষক বুলুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।শুক্রবার বিকেলে তাকে উপজেলার গেন্দুকড়ি এলাকা থেকেধর্ষক বুলু কে আটক করে পুলিশ। গেন্দুকুড়ী এলাকার সাবেক ইউ,পি সদস্য রহমান এর ছেলে।
পুলিশ সুত্র ও র্ধর্ষিত গার্মেন্টস কর্মী জানায়, ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকুরীর সুবাধে মুঠোফোনে পরিচয় হয় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডাকালিবান্দা বাজারের বস্ত্র ব্যবসায়ী মানিকের সাথে। একপর্যায়ে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাই বিয়ের প্রলোভন পেয়ে বুধবার সকালে ঢাকা থেকে হাতীবান্ধা চলে আসে স্বামী পরিত্যক্ত ওই নারী। ওই দিন সকালে মানিক তাকে উপজেলার পারুলিয়া এলাকায় ঢাকা-বুড়িমারীগামি একটি নৈশকোচ থেকে নামিয়ে নিয়ে একটি বাড়ি রাখে। পরে বুধবার সন্ধ্যার পর বিয়ের আয়োজনের কথা বলে মানিকের সহযোগি গেন্দুকুড়ি এলাকার মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত বুলু তাকে মোটরসাইকেলে করে নওদাবাস এলাকার শালবনে নিয়ে যায়। সেখানে মানিক, বুলুসহ ৫ জন যুবক রাতভর তাকে গণধর্ষণ করে বলে এই প্রতিবেদকে জানায় থানা পুলিশের হেফাজতে থাকা ওই গার্মেন্টস কর্মী।
হাতীবান্ধা থানার উপ-পরিদর্শক (এস,আই) নূর আলম বলেন, গণধর্ষণের ঘটনায় বুলু নামে এক ধর্ষককে আটক করা হয়েছে। বাকিদেরকেও গ্রেফতারে জোর চেষ্ট চলছে।