অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে :
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে সেই দৃশ্য ভিডিও করার অভিযোগ উঠেছে এক বখাটে যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশকে না জানিয়ে স্থানীয় মোড়লরা মিমাংসার নামে টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় একাধিকসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের উত্তর বাহাদুরপুর গ্রামের অজিত হালদারের ছেলে অপু হালদার (২০) একই ইউনিয়নের আহুতি বাটরা গ্রামের স্বপন বৈদ্য’র কলেজে পড়ুয়া মেয়ের সাথে মিথ্যা প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে বিয়ের প্রভোলন দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে সেটা দেখিয়ে পুনরায় ধর্ষণের চেষ্টা করে অপু। এতে রাজি না হওয়ায় ওই দৃশ্য বিভিন্ন মোবাইলে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি-ধামকি দিচ্ছে ছাত্রীকে পরিবারকে বখাটে। বিষয়টি পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পরলে অপু হালদার বিভিন্ন মাধ্যমে ছাত্রীর পরিবারকে মুখ না খোলার জন্য হুমকি প্রদান করেন। এ বিষয়ে ধর্ষিতার মা কবিতা রাণী জানান, অপু হালদারের ছোটবোন অর্পিতা হালদারের সাথে আমার মেয়ের স্কুল জীবনে বন্ধুত্ব ছিল। সেই সুবাদে আমার মেয়ে ও অর্পিতা দু’জনেই দু’জনের বাড়িতে আসা-যাওয়া করত। একদিন আমার মেয়ে অর্পিতাদের বাড়িতে বেড়াতে যায় এবং অর্পিতা ও আমার মেয়ে একই বিছানায় শুয়ে পরে। আমার মেয়ে ঘুমিয়ে পরলে অর্পিতা সেই সুযোগে তার বড়ভাইকে আমার মেয়ের কাছে পাঠায়। অর্পিতা’র বড়ভাই অপু হালদার আমার মেয়েকে ছুড়ি দেখিয়ে ও এসিড মারার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষনের চিত্র মোবাইল ধারণ করে। তিনি আরও জানান, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে এবং আইনের আশ্রয় না নিতে স্থানীয় মাতব্বররা তাদের নিয়মিত হুমকি-ধামকি প্রদান করছে। ঘটনার পর থেকে লজ্জায় আমার মেয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে রয়েছে। এ বিষয়ে অপু হালদারের পরিবার কোন কথা বলতে রাজি হয়নি। সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পর থেকে অপু হালদার পলাতক রয়েছে। এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, অপুর পরিবার থেকে স্থানীয় কিছু মাতব্বর মোটা অংকের টাকার নিয়ে বিষয়টি পুলিশকে না জানিয়ে ধামাচাপা দেয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে আগৈলঝাড়া থানার ওসি (তদন্ত) আ. রহমান সাংবাদিকদের জানান, বাহাদুপুর গ্রামের এ রকমের কোন ঘটনা আমার জানা নেই। ছাত্রীর পরিবার অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অপূর্ব লাল সরকার
প্রতিনিধি,
আগৈলঝাড়া, বরিশাল।
মোবাইল- ০১৭১২-৬৪৯২৬৯, ০১৭১১-৯২৮৭১৫,
০১৯১২-৩৪৬৪৮৪, ০১৬২৬-৫৩০২৭৭।