সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের বাহুকা এলাকায় বাঁধ ধসে লোকালয়ে প্রবেশ করতে শুরু করেছে যমুনার পানি। এতে ৩০-৩৫টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মাত্র তিন ঘন্টার মধ্যে বাহুকা পূর্বপাড়ায় ও বাহুকা বাজারে পানি ঢুকে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক শতাধিক পরিবার।
মানুষ আসবাপত্র নিয়ে বাড়িঘর ছেড়ে ওয়াপদা বাঁধ ও স্কুলে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দিকাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে পানিবন্দী মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন।
জানা যায়, যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সিরাজগঞ্জ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পুরাতন অংশ ভেঙে যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ড এর এক কিলোমিটার পিছনে নতুন বাঁধ নির্মাণ শুরু করে। কিন্তু কাজ ধীরগতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাঁধের বাহুকা পয়েন্টে ভেঙে যায়। মুহুর্তে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করতে শুরু করে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মাত্র তিন ঘন্টার ব্যবধানে পুরো একটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়ে। মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে আসবাবপত্র নিয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে উচু স্থানে আশ্রয় নেয়। পানি প্রবেশ অব্যাহত থাকলে বাঁধের পশ্চিম পাড়ের প্রায় ৩০-৩৫টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম জানান, স্রোতের কারণে বাঁধের একটি অংশ ভেঙে গেছে। আমরা জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন স্থান বন্ধ করার চেষ্টা করছি।
জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার জানান, দ্রুত ভাঙা স্থান ভরাট করার জন্য জিওব্যাগ ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে স্কুলে আশ্রয় নেয়া মানুষের মধ্যে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে।