কুমিল্লার লাকসামের আজগরা ইউনিয়ন পরিষদের বাতাবাড়িয়া গ্রামের গৃহবধু শেফালী নিখোঁজ হওয়ার ১৪ দিন পার হলেও এখনও খোঁজ মেলেনি তার। এ ঘটনায় শেফালীর পিতা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও ওই গৃহবধূকে উদ্ধারে পুলিশের কোনো তৎপরতা নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে নিখোঁজের ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী ও পিতার বাড়ির লোকজন একে-অপরের দিকে অভিযোগ ছুঁড়ছে বলেও জানা গেছে।
থানায় অভিযোগ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আজগরা ইউনিয়ন পরিষদের কৃষ্ণপুর গ্রামের এনামুল হকের মেয়ে শেফালী আক্তার (১৯) গত ৮ নভেম্বর একই ইউনিয়ন পরিষদের বাতাবাড়িয়া গ্রামের শ্বশুর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের আট দিন পর গত ১৭ নভেম্বর বিকেলে শেফালীর মা নাছিমা বেগম মেয়েকে দেখার জন্য তার শ্বশুর বাড়ি বাতাবাড়িয়া গ্রামে গিয়ে মেয়েকে না দেখে শেফালীর শ্বশুর-শ্বাশুড়ির কাছে তাঁর খোঁজ জানতে চাইলে তাঁরা কোনো সদোত্তর দিতে পারেননি। এ সময় শেফালীর শ্বশুর-শ্বাশুড়ি তাঁর মাকে জানায় ছয়-সাত দিন আগে থেকে শেফালীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
নিখোঁজ শেফালীর বাবা এনামুল হক জানান, প্রায় সাত মাস আগে শাহ পরানের সঙ্গে শেফালীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য তাঁর মেয়েকে স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের অন্যরা নির্যাতন করত। তিনি বলেন, আমাদের বিশ্বাস শেফালীকে হত্যা করে তাঁর লাশ গুম করে রাখা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, শ্বশুরবাড়ি থেকে সবাই দিন আগে তাদের মেয়ে নিখোঁজ হলেও ঘটনাটি ওই বাড়ির কেউ তাদের জানায়নি। ১৭ নভেম্বর বিকেলে মেয়েকে দেখতে গিয়ে তারা নিখোঁজের ঘটনাটি জানতে পারে। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে লাকসাম থানায় শেফালীর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে জানান তিনি।
তবে শেফালীর শ্বশুর ছিদ্দিকুর রহমান এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার ছেলে শাহ পরানকে তৃতীয় বারের মতো এই মেয়েকে বিয়ে করিয়ে ভুল করেছিলাম। কারণ শেফালী ছিল অনেকটা উম্মাদ ভারসাম্যহীন। বিয়ের পর থেকে বেশির ভাগ সময় শেফালী তাঁর বাবার বাড়ি কৃষ্ণপুরেই থাকত। আবার প্রায়ই সময় বাড়ির কাউকে কিছু না বলে বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে চলে যেত।
এ প্রসঙ্গে লাকসাম থানার এসআই সুলতান আহমেদ জানান, ওই গৃহবধূ উদ্ধারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
থানায় অভিযোগ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আজগরা ইউনিয়ন পরিষদের কৃষ্ণপুর গ্রামের এনামুল হকের মেয়ে শেফালী আক্তার (১৯) গত ৮ নভেম্বর একই ইউনিয়ন পরিষদের বাতাবাড়িয়া গ্রামের শ্বশুর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের আট দিন পর গত ১৭ নভেম্বর বিকেলে শেফালীর মা নাছিমা বেগম মেয়েকে দেখার জন্য তার শ্বশুর বাড়ি বাতাবাড়িয়া গ্রামে গিয়ে মেয়েকে না দেখে শেফালীর শ্বশুর-শ্বাশুড়ির কাছে তাঁর খোঁজ জানতে চাইলে তাঁরা কোনো সদোত্তর দিতে পারেননি। এ সময় শেফালীর শ্বশুর-শ্বাশুড়ি তাঁর মাকে জানায় ছয়-সাত দিন আগে থেকে শেফালীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
নিখোঁজ শেফালীর বাবা এনামুল হক জানান, প্রায় সাত মাস আগে শাহ পরানের সঙ্গে শেফালীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য তাঁর মেয়েকে স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের অন্যরা নির্যাতন করত। তিনি বলেন, আমাদের বিশ্বাস শেফালীকে হত্যা করে তাঁর লাশ গুম করে রাখা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, শ্বশুরবাড়ি থেকে সবাই দিন আগে তাদের মেয়ে নিখোঁজ হলেও ঘটনাটি ওই বাড়ির কেউ তাদের জানায়নি। ১৭ নভেম্বর বিকেলে মেয়েকে দেখতে গিয়ে তারা নিখোঁজের ঘটনাটি জানতে পারে। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে লাকসাম থানায় শেফালীর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে জানান তিনি।
তবে শেফালীর শ্বশুর ছিদ্দিকুর রহমান এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার ছেলে শাহ পরানকে তৃতীয় বারের মতো এই মেয়েকে বিয়ে করিয়ে ভুল করেছিলাম। কারণ শেফালী ছিল অনেকটা উম্মাদ ভারসাম্যহীন। বিয়ের পর থেকে বেশির ভাগ সময় শেফালী তাঁর বাবার বাড়ি কৃষ্ণপুরেই থাকত। আবার প্রায়ই সময় বাড়ির কাউকে কিছু না বলে বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে চলে যেত।
এ প্রসঙ্গে লাকসাম থানার এসআই সুলতান আহমেদ জানান, ওই গৃহবধূ উদ্ধারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।