মোঃ জাহিদুল ইসলাম ডিমলা প্রতিনিধি।। দিন মুজুর ফজলে রহমান ধানের চাঁরা রোপন করতে গিয়ে অবশেষে লাশ হয়ে ঘরে ফিরলো। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় ৬ নং নাউতারা ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ডের ভাটিয়াপাড়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা মৃত হক-এর পুত্র বোরহান উদ্দিন একই গ্রামের মৃত তালিব উদ্দিন-এর ২ ছেলে ও ৬ মেয়ের মধ্যে ছেলেদের কাছ থেকে জমি খরিত করে দীর্ঘদিন যাবত ভোগদখল করে আসছে। অপরদিকে বোরহানের প্রতিবেশি বান্দু ব্যাপারী মৃত তবিল উদ্দিনের ওয়ারিশগণের কাছ থেকে ৪৪ শতাংশ জমি পচা বন্দক দীর্ঘদিন ধরে খেয়ে আসছে। এমতাবস্থায় বান্দু ব্যাপারী তার ছেলে মোঃ আলীকে বন্দককৃত উক্ত জমি কবলা করে দিয়ে মৃত্যুবরণ করে।
এদিকে মৃত্যু তালিব উদ্দিনের ৬ মেয়ের প্রথম মেয়ের ছেলে মোঃ আনিছুর রহমান ওয়ারিশের সুত্র ধরে নাউতারা ইউনিয়ন পরিষদের জমি উদ্ধারের মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিষয়ে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম লেলিন-এর কাছে জানতে তিনি প্রতিবেদক কে বলে আনিছুর রহমান ও মোঃ আলীর কাগজপত্র দেখে আনিছুর রহমানের পক্ষে রায় ঘোষনা করা হয় এবং পচা বন্দকের বিষয়টি নিষ্পর্তি করার জন্য বারবার চেষ্টা করলেও মোঃ আলী সারা দেয়নি।
গত ৩ জুলাই আনিছুর রহমান গং আনুমানিক সকাল ৫.৩০ দিকে আমন ধানের চাঁরা রোপনের শেষ মুহুর্তে মোঃ আলী ও বোরহান উদ্দিন গং সংঘর্ষ বাধলে ঘটনাস্থলে ফজলে রহমান (৫৩) মৃত্যুবরণ করেন এবং গুরুত্বর আহত হন ৪ জন। তাদেরকে ডিমলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে উন্নয়ন চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। এদিকে মৃত ফজলে রহমানের মেঝ ছেলে বাদী হয়ে উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন ০৪, তাং- ০৩/০৭/২০১৭ ইং।
ইতিমধ্যে পুলিশ মোক্তার আলী, পিতা- হাকিম আলী ও নজর আলী, পিতা- দারোগালী কে আটক করেছে এবং ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন বাকী আসামীদের ধরার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে এলাকার শোকছায়া ও চানচল্লকর সৃষ্টি হয়েছে। দিন মুজুর ফজলে রহমানের পরিবার পারিশ্রমিকের বদলে পেল লাশ। এলাকাবাসীর দাবী কি হবে তাদের সন্তানদের, কে চালাবে তাদের ভরনপোষন।