মৌলভীবাজারে অপহরণের ৪ দিন পর চাচাতো ভাইয়ের ঘরের মাটির নীচ থেকে শিশু কামরান (৬) এর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই মহিলাসহ ১৫ জনকে আটক করেছে। এ দিকে একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে কামরানের মা শিল্পী বেগম (২৫) বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত শিশু কামরান স্থানীয় উদয়ন কেজি এন্ড হাইস্কুলের প্লে গ্রুপের ছাত্র ছিল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় মৌলভীবাজারে সদর উপজেলার মনুমুখ ইউনিয়নের সাধু হাটি গ্রমের ওমান প্রবাসী কয়েছ মিয়ার শিশু পুত্র ২৯শে জুন সকাল ৯টায় নিখোঁজ হয় বাড়ি থেকে। বিকালে একটি ফোন থেকে তার চাচা রাসেলের ফোনে কল করে এক ব্যক্তি ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে এবং ৭২ ঘন্টার সময় দেয়। বিষয়টি মৌলভীবাজার মডেল থানার পুলিশ কে জানানোর পর পুলিশ অনুসন্ধানে নামে। পরে শিশুর এক আত্বীয় লিটন মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে অপহরণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মোবাইলের সূত্র ধরে তৎপর হয় এবং রবিবার (২রা জুলাই) রাত সাড়ে ১২ টায় অপহৃত শিশু কামরানের পিতার চাচা মৃত ছখাওত মিয়ার ছেলে আল-আমিন (২৬) কে আটক করে এবং তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক তারই ঘরের বিছানার নিচের মাটি খুড়ে কামরানের মৃত দেহ উদ্ধার করে। শিশু কামরানের ঘরের এক ভীটে পড়েই পাষান্ড আল-আমিনের ঘর। এই বাড়িতে আরও ৩ টি ঘর আছে। এমন অবস্থায় এই লোমহর্ষক ঘটনা কিভাবে ঘটলো গ্রামবাসি হতবাক। গতকাল রাতে শিশু কামরানের মা শিল্পী বেগম ছেলে হত্যার খবর শুনে মূর্ছা যান। পরে তাকে মৌলভীবাজার শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে জ্ঞান ফিরলেই চিৎকার করছেন আবার মুর্ছা যাচ্ছেন। পাশে আছেন খালা শাশুড়ি রোশনা বেগম ও মামা শশুর আব্দুল কালাম তাকে শান্তনা দেয়ার চেষ্টা করছেন। মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: সোহেল আহমদ সকালে জানিয়েছেন অপহৃত শিশুর পরিবারের দেয়া একটি মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে পুলিশ অভিযান চালায়। কিন্তু ফোন একবার ব্যহার করে টাকা চাওয়া হয়। তারপর থেকে বন্ধ ছিল। রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টায় আল-আমিনকে আটক করার পর লাশের সন্ধান পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৫ জনকে থানায় আনা হয়েছে। ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।