মালয়েশিয়ায় অবৈধ বিদেশি শ্রমিকদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দেশজুড়ে একযোগে চলছে এই অভিযান। আর এ অভিযানে প্রতি ঘণ্টায় বাড়ছে আটকের সংখ্যা। ফলে আটক শ্রমিকের সঠিক সংখ্যা জানা যাচ্ছে না। তবে মালয়েশিয়ার গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩৫ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যার মধ্যে পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশি রয়েছেন। এদিকে বিভিন্ন শহরে একযোগে এ অভিযান চলার কারণে ঘরেই বন্দি হয়ে পড়েছে বৈধ কাগজপত্র না থাকা শ্রমিকরা। যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন এমন আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের। এর আগে সেদেশে অবৈধভাবে অবস্থানরত শ্রমিকদের বৈধ কাগজপত্র করতে দু’দফা সময় বাড়ায় দেশটির সরকার। কিন্তু এ সুযোগ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় বিপাকে পড়েছে বিপুল সংখ্যক বিদেশি। যাদের একটি বড় অংশ বাংলাদেশি নাগরিক। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেভাবে ধরপাকড় চলছে তাতে মনে হচ্ছে কাগজপত্র না থাকা শ্রমিকরা এ যাত্রায় আর পার পাবে না। নিজ দেশে তাদের ফিরতেই হবে। তবে এ ব্যাপারে সময় বাড়াতে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের পক্ষ থেকে মালয়েশিয়ান সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পরামর্শ দেন তারা। এদিকে বৈধকরণ প্রক্রিয়ার সুযোগ গ্রহণে ব্যর্থ হওয়ার পেছনে কোম্পানিগুলোর গড়িমসি এবং দালালদের দৌরাত্ম্যকে দায়ী করেন বিশেষজ্ঞরা।
মালয়েশিয়ার দ্য স্টার পত্রিকার খবরে বলা হয়, গতকাল আটককৃত সহস্রাধিক অভিবাসীর মধ্যে ৫১৫ জনই বাংলাদেশি। মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বৈধ কাগজপত্র না থাকা শ্রমিকদের বৈধভাবে পুনঃনিয়োগের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত চার মাস ধরে এনফোর্সমেন্ট কার্ডের (ই-কার্ড) আবেদন নেয়া হয়। এর সময়সীমা ছিল গত ৩০শে জুন। কর্তৃপক্ষ বলছে, আটককৃতদের কাছে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষের দেয়া (ই-কার্ড) তথা সাময়িক অবস্থানের অনুমতিপত্র পাওয়া যায়নি। দেশটির ১৫৫টি এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই বিপুল সংখ্যক অভিবাসীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আটকদের মধ্যে ৫১৫ জন বাংলাদেশি ছাড়াও ১৩৫ জন ইন্দোনেশীয়, ১০২ জন ফিলিপিনো, ৫০ জন থাই ও দুজন ভিয়েতনামি নাগরিক রয়েছেন। আটকদের মধ্যে ১০১ জন নারী ও তিন শিশুও রয়েছে বলে জানিয়েছে মালয়েশীয় অভিবাসন দপ্তর। অভিবাসন দপ্তরের মহাপরিচালক মুস্তাফার আলী জানিয়েছেন, নিয়ম ভেঙে অবৈধ অভিবাসীদের কাজে রাখায় ১৬ জন চাকরিদাতাকেও তারা আটক করেছেন। মালয়েশীয় দৈনিক সান-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, মুস্তাফার আলী জানিয়েছেন, আটকরা ই-কার্ডের জন্য আবেদন না করার বিভিন্ন কারণ দেখিয়েছেন। কেউ কেউ বলেছেন, তারা আবেদনের সময়সীমা জানতেন না। আবার কেউ বলেছেন, ওই সময়সীমা বাড়ানো হবে বলে চাকরিদাতারা তাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন। ইমিগ্রেশন দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ২৬ হাজার ৯৫৭টি কোম্পানির মোট এক লাখ ৫৫ হাজার ৬৮০ জন কর্মী ই-কার্ডের আবেদন করেন। ১৫টি দেশের নাগরিক এই আবেদন করেছেন। এদের মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা ৭১ হাজার ৯০৩ জন, ইন্দোনেশিয়ার ২৬ হাজার ৭৬৪ জন ও মিয়ানমারের ১১ হাজার ৮২৫ জন নাগরিক। সূত্র জানিয়েছে, এই ই-কার্ডের মেয়াদ আগামী বছরের ১৫ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। অর্থাৎ, যাদের কাছে বৈধ পাসপোর্ট বা কাজের অনুমতি নেই, ওই ই-কার্ডের কারণে তারা ১৫ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় থেকে কাজ করতে পারবেন। ওই সময়ের মধ্যে তাদের নিজ নিজ দূতাবাস থেকে পাসপোর্ট ও ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে নতুন করে ওয়ার্ক পারমিট নিতে হবে। তা না হলে নির্ধারিত সময়ের পর তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এদিকে বৈধ কাগজপত্র না থাকা এক বাংলাদেশি শ্রমিক বলেন, তিনি কয়েকদিন ধরে বের হতে পারছেন না। পুলিশ যেকোনো সময় তাকে গ্রেপ্তার করতে পারে এই ভয়ে ঘরের ভেতরেই দিন কাটছে। অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা কারাম এশিয়ার দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সমন্বয়ক হারুন অর রশিদ বলেন, তার কাছে প্রতিদিন অসংখ্য ফোন আসছে গ্রেপ্তারের খবর জানিয়ে। তিনি বলেন- দেশটির বিভিন্ন এলাকায় একযোগে এসব অভিযান চলছে। ফলে গ্রেপ্তারের সঠিক সংখ্যাটা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত কারাম এশিয়ার এই কর্মকর্তা বলেন, যেহেতু তারা দু’দফা সুযোগ দিয়েছে তাই বৈধ কাগজপত্র না থাকা নাগরিকদের তাদের দেশেই ফিরে যেতে হবে। তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক শ্রমিক ই-কার্ড নিতে না পারার একটা বড় কারণ মালিকদের গাফিলতি। এছাড়া অনেকে দালালদের ওপর ভরসা করেও সুযোগ গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, বৈধ কাগজপত্র না থাকলে মালিকপক্ষ কম বেতনে তাদের কাজে লাগাতে পারেন। তিনি জানান, এই ধরপাকড় শুরু হওয়ার পর কোম্পানির মালিকপক্ষ তাদের শ্রমিকদের ই-কার্ড সংগ্রহ করতে আরো সময় চেয়েছে। এ ব্যাপারে তাদের একটি বৈঠক করার কথা রয়েছে বলেও তিনি জানান। বিভিন্ন দেশের অ্যাম্বাসি ও সরকার মালয়েশিয়ার সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সময় বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দেন হারুন অর রশিদ। উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা ছয় লাখের বেশি। সেই হিসেবে অবৈধ শ্রমিকদের মাত্র ২৩ শতাংশ ই-কার্ড সংগ্রহ করেছে।
মালয়েশিয়ার দ্য স্টার পত্রিকার খবরে বলা হয়, গতকাল আটককৃত সহস্রাধিক অভিবাসীর মধ্যে ৫১৫ জনই বাংলাদেশি। মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বৈধ কাগজপত্র না থাকা শ্রমিকদের বৈধভাবে পুনঃনিয়োগের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত চার মাস ধরে এনফোর্সমেন্ট কার্ডের (ই-কার্ড) আবেদন নেয়া হয়। এর সময়সীমা ছিল গত ৩০শে জুন। কর্তৃপক্ষ বলছে, আটককৃতদের কাছে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষের দেয়া (ই-কার্ড) তথা সাময়িক অবস্থানের অনুমতিপত্র পাওয়া যায়নি। দেশটির ১৫৫টি এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই বিপুল সংখ্যক অভিবাসীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আটকদের মধ্যে ৫১৫ জন বাংলাদেশি ছাড়াও ১৩৫ জন ইন্দোনেশীয়, ১০২ জন ফিলিপিনো, ৫০ জন থাই ও দুজন ভিয়েতনামি নাগরিক রয়েছেন। আটকদের মধ্যে ১০১ জন নারী ও তিন শিশুও রয়েছে বলে জানিয়েছে মালয়েশীয় অভিবাসন দপ্তর। অভিবাসন দপ্তরের মহাপরিচালক মুস্তাফার আলী জানিয়েছেন, নিয়ম ভেঙে অবৈধ অভিবাসীদের কাজে রাখায় ১৬ জন চাকরিদাতাকেও তারা আটক করেছেন। মালয়েশীয় দৈনিক সান-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, মুস্তাফার আলী জানিয়েছেন, আটকরা ই-কার্ডের জন্য আবেদন না করার বিভিন্ন কারণ দেখিয়েছেন। কেউ কেউ বলেছেন, তারা আবেদনের সময়সীমা জানতেন না। আবার কেউ বলেছেন, ওই সময়সীমা বাড়ানো হবে বলে চাকরিদাতারা তাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন। ইমিগ্রেশন দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ২৬ হাজার ৯৫৭টি কোম্পানির মোট এক লাখ ৫৫ হাজার ৬৮০ জন কর্মী ই-কার্ডের আবেদন করেন। ১৫টি দেশের নাগরিক এই আবেদন করেছেন। এদের মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা ৭১ হাজার ৯০৩ জন, ইন্দোনেশিয়ার ২৬ হাজার ৭৬৪ জন ও মিয়ানমারের ১১ হাজার ৮২৫ জন নাগরিক। সূত্র জানিয়েছে, এই ই-কার্ডের মেয়াদ আগামী বছরের ১৫ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। অর্থাৎ, যাদের কাছে বৈধ পাসপোর্ট বা কাজের অনুমতি নেই, ওই ই-কার্ডের কারণে তারা ১৫ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় থেকে কাজ করতে পারবেন। ওই সময়ের মধ্যে তাদের নিজ নিজ দূতাবাস থেকে পাসপোর্ট ও ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে নতুন করে ওয়ার্ক পারমিট নিতে হবে। তা না হলে নির্ধারিত সময়ের পর তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এদিকে বৈধ কাগজপত্র না থাকা এক বাংলাদেশি শ্রমিক বলেন, তিনি কয়েকদিন ধরে বের হতে পারছেন না। পুলিশ যেকোনো সময় তাকে গ্রেপ্তার করতে পারে এই ভয়ে ঘরের ভেতরেই দিন কাটছে। অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা কারাম এশিয়ার দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সমন্বয়ক হারুন অর রশিদ বলেন, তার কাছে প্রতিদিন অসংখ্য ফোন আসছে গ্রেপ্তারের খবর জানিয়ে। তিনি বলেন- দেশটির বিভিন্ন এলাকায় একযোগে এসব অভিযান চলছে। ফলে গ্রেপ্তারের সঠিক সংখ্যাটা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত কারাম এশিয়ার এই কর্মকর্তা বলেন, যেহেতু তারা দু’দফা সুযোগ দিয়েছে তাই বৈধ কাগজপত্র না থাকা নাগরিকদের তাদের দেশেই ফিরে যেতে হবে। তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক শ্রমিক ই-কার্ড নিতে না পারার একটা বড় কারণ মালিকদের গাফিলতি। এছাড়া অনেকে দালালদের ওপর ভরসা করেও সুযোগ গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, বৈধ কাগজপত্র না থাকলে মালিকপক্ষ কম বেতনে তাদের কাজে লাগাতে পারেন। তিনি জানান, এই ধরপাকড় শুরু হওয়ার পর কোম্পানির মালিকপক্ষ তাদের শ্রমিকদের ই-কার্ড সংগ্রহ করতে আরো সময় চেয়েছে। এ ব্যাপারে তাদের একটি বৈঠক করার কথা রয়েছে বলেও তিনি জানান। বিভিন্ন দেশের অ্যাম্বাসি ও সরকার মালয়েশিয়ার সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সময় বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দেন হারুন অর রশিদ। উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা ছয় লাখের বেশি। সেই হিসেবে অবৈধ শ্রমিকদের মাত্র ২৩ শতাংশ ই-কার্ড সংগ্রহ করেছে।