আগামীকাল পবিত্র ঈদুল ফিতর। এ উপলক্ষে দেশবাসীসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার পৃথক বাণীতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এ শুভেচ্ছা জানান।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাঁর বাণীতে বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ ইসলাম কখনো সমর্থন করে না। ইসলাম শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম। এখনে হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি, কূপমণ্ডূকতার কোনো স্থান নেই। ইসলাম মানবিক মূল্যবোধ, পারস্পরিক সহাবস্থান, পরম সহিষ্ণুতা, সাম্য, মৈত্রীসহ বিশ্বজনীন কল্যাণকে ধারণ করে। ইসলামের এই সুমহান বার্তা ও আদর্শ সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। ইসলামের মর্মার্থ ও অন্তর্নিহিত তাৎপর্য মানবতার মুক্তির দিশারি হিসেবে দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ুক—এ প্রত্যাশা করি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, পবিত্র রমজানে মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা ও সংযম পালনের পর অপার খুশি আর আনন্দের বার্তা নিয়ে সমাগত হয় শাওয়ালের নতুন চাঁদ, পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ মুসলমানদের জন্য এক আনন্দঘন দিন। এ আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে সবার মাঝে, সারা বাংলায়। তিনি বলেন, শহরবাসী মানুষ শিকড়ের টানে ফিরে যায় গ্রামে, আপনজনের কাছে। মিলিত হয় আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীদের সঙ্গে। ঈদ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন। ঈদুল ফিতরের শিক্ষা সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেছেন, ঈদ শান্তি, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের অনুপম শিক্ষা দেয়। হিংসা ও হানাহানি ভুলে মানুষ সাম্য, মৈত্রী ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ঈদ ধনী-গরিবনির্বিশেষে সবার জীবনে আনন্দের বার্তা বয়ে নিয়ে আসে। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সব মানুষের সুখ-শান্তি, কল্যাণ ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি হোক—আজকের দিনে আমি মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে এ প্রার্থনা করি। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।’
শেখ হাসিনা বলেন, আগামী দিনগুলো সত্য ও সুন্দর হোক। হাসি-খুশি ও ঈদের অনাবিল আনন্দে প্রতিটি মানুষের জীবন পূর্ণতায় ভরে উঠুক। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে মুসলমানদের আত্মশুদ্ধি, সংযম, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মেলবন্ধন পরিব্যাপ্তি লাভ করুক—এটাই হোক ঈদ উৎসবের ঐকান্তিক কামনা।