আজ শনিবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সদরঘাট টার্মিনাল থেকে ৪৪টি লঞ্চ বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। লঞ্চগুলোর ভেতর ও ছাদ যাত্রীতে ঠাসা ছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক সাইফুল হক খান প্রথম আলোকে বলেন, কোনো অবস্থাতেই ছাদে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ছাড়তে দেওয়া হবে না। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার ব্যবস্থাপনা ভালো।
নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত সুপার হাতেম আলী বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য তাঁরা টার্মিনাল ও নদীতে তৎপর রয়েছেন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদরঘাটে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। সুন্দরবন ১১ ও ঈগল ৩ নামের দুটি লঞ্চ টার্মিনালে ভেড়ার সময় পরস্পরের সঙ্গে ধাক্কা খায়। পাশে ছিল একটি খেয়া নৌকা। লঞ্চ দুটির ধাক্কায় খেয়া নৌকার চার যাত্রী পানিতে পড়ে যান। তিনজন সাঁতরে উঠে আসতে সক্ষম হন। এক নারী নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। তাঁকে উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।
সাহরির পর থেকে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা লঞ্চঘাটে আসতে থাকেন। অনেকে লঞ্চ ছাড়ার নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই ঘাটে আসেন।
সুন্দরবন লঞ্চের পরিচালক জন্টু মিয়া বলেন, ভোর থেকেই যাত্রীর চাপ রয়েছে। বিকেলে গার্মেন্টস ছুটি হলে এই চাপ আরও বাড়বে।
তুষখালী ও গলাচিপা—এই দুই রুটে নৌযানের সংকট আছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন।
রুট দুটির একাধিক যাত্রী জানান, বেলা ১১টা থেকে তাঁরা টার্মিনালে বসে আছেন। বেলা দেড়টা পর্যন্ত কোনো লঞ্চ ঘাটে আসেনি।
জানতে চাইলে নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক সাইফুল হক খান প্রথম আলোকে বলেন, যে লঞ্চগুলো গতকাল শনিবার রাতে সদরঘাট টার্মিনাল ছেড়ে গেছে, সেগুলো এলেই দুই রুটের নৌযান-সংকট দূর হবে।