গাজীপুর অফিস: দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছর পর মেয়রের চেয়ারে বসার পর আবারো চাটুকারে ঘিরে ফেলেছে গাসিক মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান কে। জেলে থাকার দুঃসময়ে যারা তার বিরোধীতা করেছেন এখন তারাই তার চারিদিকে ঘুর ঘুর করছেন। ফুল দিচ্ছেন আর সকাল বেলায়ই মেয়র সাহেবের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করছেন। মেয়র গ্রেফতারের পর যারা মিষ্টি বিতরণ করেছেন তাদের অনেকেই এখন মেয়রের ঘনিষ্টজন হয়ে গেছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বিএনপির নেতা-কাম সাংবাদিক কতিপয় লোক মেয়র মান্নানকে গ্রেফতার করতে পুলিশকে সহযোগিতা করেছেন। মেয়র গ্রেফতারের পর ওই সকল লোকেরা শৃঙ্খলা বাহিনীকে মিষ্টি পর্যন্ত খাইয়েছেন। আর জেলে থাকা অবস্থায় মেয়রের মুক্তির দাবিতে তেমন কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি বা পত্রিকায় লেখালেখিও চোখে পড়ে নি। বিএনপির আভ্যন্তরনী কোন্দল আর দলবাজ কতিপয় সাংবাদিকদের কারণে মেয়রের মুক্তির যথার্থতা জাতির সামনে উঠে আসেনি।
সম্প্রতি মেয়র মুক্তি পেয়ে চেয়ারে বসার পর ওই সকল চাটুকাররা আবার মেয়রের চারিদিকে অবস্থান নেয়। তারা নিজেদের কাপরুষতা ও বিরোধীতাকে চাপা দিয়ে মেয়রের মুক্তির জন্য কাজ করতে করতে অস্থির হয়েছেন বলে জাহির করছেন। আর চাটুকারদের তোষামোদিতে নেতাদের উচ্ছাসিত হওয়ার যে আদিম রীতি তাও প্রকাশ পায়।
ফলে অনেকে মনে করছেন, কয়েক মাসের জন্য মেয়রের চেয়ারে বসা মান্নানকে রাজনৈতিক মারপেচে ফেলে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে মরিয়া ওই সকল কুচক্রিমহল মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানকে অতীতের মত ভুয়া প্রেমেই রেখেছেন।
এই অবস্থা চলতে থাকলে মেয়রকে আবারো কোন জটিল পরিস্থিতির মধ্যে পরতে হতে পারে বলে আশংকা রয়েছে।
চলবে———-