.
সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় প্রাইভেট পড়ানোর সময় ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে ওয়াজেদ আলী মজুমদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক নাজমুল ইসলাম (৩৫) কে আটক করেছে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ।
আটককৃত শিক্ষক নাজমুল ইসলাম (৩৫) ওয়াজেদ আলী মজুমদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক ও জকিগঞ্জ উপজেলার থানাবাজার এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় জনতা সুত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় ২০ জুন সোমবার বিকালে অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমুল ইসলাম নিয়াগুল গ্রামের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ানো শেষে যৌন হয়রানি করতে গেলে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
তবে এলাকাবাসী বিষয়টি যৌন হয়রানী বলে দাবী করলেও অভিযুক্ত শিক্ষক পুলিশকে জানিয়েছে সে পরিস্থিতির শিকার। এদিকে ছাত্রীকে শিক্ষক কর্তৃক যৌন হয়রানীর বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা ওই শিক্ষকের বিচারের দাবীতে বিদ্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে শুরু করে। এ সময় বিক্ষোব্ধ জনতা ইট-পাটকেল ছুড়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
স্কুলে হামলা ও শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী যৌনহয়রানীর খবর পেয়ে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্ত নাজমুল কে গ্রেফতার করলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেন, এলাকার লোকজনের ধর্ষণসহ বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে পুলিশ প্রশাসন আটক করে নিয়ে যায়। এখন আ্ইনানুগ ভাবে বিষয়টি সমাধান হবে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় সত্য মিথ্যা যাচাই করার সুযোগ হয়নি।
কসকনকপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক রিয়াজ বলেন, বিষয়টি যৌন হয়রানী না ধর্ষণ না অন্য কিছু তা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।
জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হাবিবুর রহমান হাওলাদার জানান, প্রাইভেট পড়ানোর সময় ছাত্রীর সাথে শিক্ষকের যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে এলাকার লোকজন নাজমুল নামের এক শিক্ষককে আটক করে। বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ছাত্রীর পরিবারের লোকজন থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে ঘটনাস্থলে থাকা জকিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ বলেন, ওই ছাত্রী তাকে বলেছে, সে ঐ শিক্ষকের নিকট প্রাইভেট পড়ার সময় হঠাৎ শিক্ষক দরজা বন্ধ করে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তবে অভিযুক্ত শিক্ষক তার কাছে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার তাকে ফাসানো হয়েছে।