লালমনিরহাটে এবারের ঈদে জমে উঠেছে রমরমা কাপড়ের ব্যবসা।

Slider রংপুর

20170619_151112

এম এ কাহার বকুল;  লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ, এবার যেন একটু আগে ভাগেই ঈদের বাজারে ক্রেতা আসতে শুরু করেছে লালমনিরহাট জেলার ঈদ বাজারে। বাজারে নানা ডিজাইনের পোষাক থাকলেও মূলতঃ ভারতীয় ও চাইনিজ পোষাকই বাজার দখল করে রেখেছে। তবে দেশীয় সুতি কাপড়ের কদরও কিন্তু কমেনি এখানকার ঈদ বাজার গুলোতে।

ঈদের দিন যতই এগিয়ে আসছে মফস্বলের ছোট্ট জেলা শহর লালমনিরহাটের ঈদ বাজার ততই জমে উঠছে। বাজারে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে থান কাপড় ও গামের্ন্টসের দোকান গুলোতে উপচেপড়া ভিড় লেগে থাকছে।

দোকানীরা জানালেন বেচাকেনা খারাপ না। আগামীতে আবহাওয়ার অবস্থা ভাল থাকলে তারা ভালো ব্যবসা করতে পারবেন। তবে সম্প্রতি শহরের বিভিন্ন সড়কে চলছে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কের উন্নয়ন মূলক কাজ। এ উন্নয়ন কাজ ঈদ বাজার করতে আসা লোকজনের ভোগান্তি বাড়িয়েছে। বিশেষ করে খাল খুঁড়ে এবং গাড়ি বসিয়ে রাস্তা নির্মাণের কারণে শহরের বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল প্রায় সময় বন্ধ হয়ে থাকে। এ থেকে বাদ যায়নি শহরের মূল কেন্দ্র বিন্দু লালমনিরহাট জেলা শহরও। ব্যবসায়ীরা জানালেন ঈদের পরে ব্যবসায়ীক এলাকায় খুড়াখুড়ির কাজ না করলে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সুবিধা হতো। বর্তমান সময়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সবাই ছুটছেন ঈদ বাজারের দিকে। খুব বেশী ভীড় বেড়ে যাবার আগেই অনেকে তাদের কেনাকাটা শেষ করছেন। গরমের কথা বিবেচনা করে অনেকেই দেশী সুতি থ্রি পীচ ও শাড়ি কিনছেন। দামের দিক থেকে কিছুটা সাশ্রয় আর আরাম দায়ক হওয়ায় এসব ক্রেতার প্রথম পছন্দই হলো দেশী সুতি ড্রেস।

লালমনিরহাট জেলার কাকিনায় এম মনসুর মার্কেট মা বস্ত্রালয় এন্ড গার্মেন্টস। এই গার্মেন্টস এর মালিক জনাব মোঃ আমিনুর রহমান (শাওন) জানান, এবারের বেচা কেনা অনেক বেশি হচ্ছে।ক্রেতারা অনেক আসতেছে এবং তাঁরা দেখেশুনেকাপড় ক্রয় করছেন। তবে গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারে কাপড়ের ব্যবসা অনেক ভাল চলছে। আগামী কয়েকদিন যদি আবহাওয়া ভাল থাকে তবে এবারে সর্বোচ্চ বিক্রি হবে বলে আশা করছি ইনশাআল্লাহ।

এদিকে, ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকী। আর তাই লালমনিরহাট জেলার দর্জি দোকান গুলো এখন সরগরম। কারো ফুরসত নাই। দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন দর্জি শ্রমিকরা। কাষ্টমারের কাছ থেকে নেয়া অর্ডার সময়মত ডেলিভারী দিতে মরিয়া হয়ে কাজ করছেন তারা। কোন কোন টেইলার্স ২/১দিনের মধ্যে অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দেবেন এমনটি জানিয়েছেন।

১০ রোজার পর থেকে মূলতঃ লালমনিরহাটের ঈদের বাজার জমতে শুরু করে। এখন রাস্তা দিয়ে হাটাই দায় হয়ে পড়েছে। ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। চাহিদা মাফিক জামা-কাপড় ও জুতা-স্যান্ডেল কিনতে ক্রেতারা এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ভিড় করছেন।

বিশেষ করে যারা সিট কাপড়ের দোকান থেকে কাপড় কিনে দর্জির কাছে তৈরী করতে দেবেন তাদের আনাগোনাই এখন বেশী। আগে ভাগে কাপড় কিনে না দিতে পারলে সময়মত তা ডেলিভারী পাবেন না, এই আশংকায় অনেকটা বেশি ছুটোছুটি করছেন তারা। পছন্দের কাপড়টি কিনে ভাল দর্জিবাড়ি তা তৈরী করতে দিতে হবে, এজন্য শহরের ক্রেতা সকাল-সন্ধ্যা ঈদের বাজারে যাচ্ছেন। দিন যত যাচ্ছে দর্জি শ্রমিকদের কাজের চাপও ততই বেড়ে যাচ্ছে।

দর্জি শ্রমিকরা জানান, গত বছরের থেকে তাদের কাজের চাপ বেশী। তারা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। যে কোন ভাবে সময়মত লোকজনকে পোষাক তেরী করে তা ডেলিভারী দিতে হবে।

গত বছরের তুলনায় এ বছর কাপড়ের দাম বেশী এমন অভিযোগ ক্রেতাদের। তারপরও সবারই লক্ষ্য পরিবার পরিজনের জন্য নতুন কাপড় কেনা। আর গরীব ক্রেতারা সাশ্রয়ী দামে কাপড় কিনতে তাই এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ছুটছেন।

ধনী বা দরিদ্র যেই হোক না কেন সবাই এখন ঈদ বাজার মুখি। ঈদে স্বজনদের জন্য নতুন জামা-কাপড় কিনতে ঈদ বাজারে ভিড় করছেন। আর তাই বাজার গুলোও জমে উঠেছে বেশ আগে ভাগেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *