আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবই বৃষ্টিপাতের কারণ। এই অবস্থা আরও কয়েক দিন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঢাকা মহানগরের ট্রাফিক বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘বৃষ্টিতে আমরা ডুবে যাচ্ছি। এভাবে বৃষ্টি হলে ডুবে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।’
আজ সোমবার সকাল নয়টা দিকে ঢাকায় প্রচণ্ড বৃষ্টি শুরু হয়। ঘণ্টা দুয়েকের ভারী বৃষ্টিতে নগরের বেশির ভাগ এলাকার গলি থেকে রাজপথ পানিতে টইটম্বুর। বেলা একটার সময়ও মিরপুরের কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, কালশী, ১৩ নম্বর, ভাষানটেক, উত্তরা, বনানী, রামপুরা, ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সড়কের মোড়, ফার্মগেট, তেজতুরী বাজার, তেজকুনিপাড়া, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, মৌচাক, দক্ষিণ বনশ্রী, কারওয়ান বাজার, বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের সামনের সড়কে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে।
বৃষ্টির সময় নগরবাসীর চলাচল কিছুটা কমে যায়। কিছুটা বিরতি এলে আবার ব্যস্ত হয়ে ওঠে সড়কগুলো। পানি জমে থাকায় যানবাহনগুলোর গতি কমে যায়। এর ফলে কোথাও কোথাও যানজটও সৃষ্টি হয়েছে।
ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার (পশ্চিম) লিটন কুমার সাহা বলেন, বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি জমে গেলে সিএনজি অটোরিকশার মতো ছোট যানবাহনগুলো বিকল হয়ে পড়ে। একটি যানবাহন নষ্ট হলে পুরো রাস্তায় যানজট ছড়িয়ে পড়ে। তবে দুপুর পর্যন্ত বড় কোনো সমস্যা হয়নি।
ট্রাফিক বিভাগের কয়েকজন সহকারী কমিশনারের মতে, বেলা তিনটার দিকে অফিস ছুটির পর যানজট হতে পারে। এ সময় যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে দুর্ভোগ দেখা দিতে পারে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বৃষ্টি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আপাতত দেখছেন না। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের প্রায় সব বিভাগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাদের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রোববার সকাল ছয়টা থেকে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকায় ৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে এখানে আজ সকাল ছয়টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।