ঢাকা: এত কাছে তবু কত দূরে! সে দূরত্বটা কতটুকু? এক ইঞ্চি এদিক-ওদিক হলেই আজ ফাইনালের গল্পটা নতুনভাবে লিখতে হতো পাকিস্তানের। কিন্তু জসপ্রীত বুমরার গোড়ালি দাগের ভুল অংশে থাকায় জীবন ফিরে পেয়েছেন ফখর জামান। এমন উপহার হেলায় হারায়নি পাকিস্তান। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১১৪ রান তুলেছে পাকিস্তান।
টসে জিতে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছে ভারত। এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে যে এটাই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথমে ফিল্ডিং নিয়ে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ে পাঠাও, তারপর লক্ষ্য যা–ই হোক সেটা তাড়া করে জিতে নাও ম্যাচ। আজও চেনা চিত্রনাট্যে হাঁটতে চেয়েছে ভারত। প্রথম তিন ওভার ভালোই চলছিল। ১৯তম বলে প্রথম মনে হলো, কোথাও কিছু একটা ভুল হয়ে গেল। জামানকে মহেন্দ্র সিং ধোনির ক্যাচ বানালেন বুমরা। ড্রেসিংরুমের দিকে হাঁটাও শুরু করেছিলেন এই ওপেনার। কিন্তু বুমরার পা নিয়ে আম্পায়ার সন্দিহান থাকায়, ভিডিওর সাহায্য নেন। তাতেই ধরা পড়ল ওই নো-বল!
জামানের রান তখন ৩, পাকিস্তানের ৮। এরপরই যেন ম্যাচে শুরুর জড়তাও কাটিয়ে ফেলল পাকিস্তান। ভারতীয় বোলারদের হতাশ করে একের পর এক বাউন্ডারিতে দ্রুত রান তুলেছে দুই ওপেনার। ভাগ্যের সহযোগিতাও পেয়েছেন তাঁরা, বেশ কয়েকটি রান আউটের সুযোগ দিয়েছে পাকিস্তান। ব্যাটের কানা লেগে বল আকাশেও উঠেছে বেশ কয়েকবার। কিন্তু ভারত যে আজ ভাগ্যের সহায়তা একেবারেই পাচ্ছে না।
সে সুযোগে ১০ ওভারের আগেই ৫০ তুলেছে পাকিস্তান। ১৯তম ওভারে হয়ে গেল সেঞ্চুরিও। আইসিসির কোনো প্রতিযোগিতায় ভারতের বিপক্ষে এই প্রথম উদ্বোধনী জুটিতে সেঞ্চুরি পেরোল পাকিস্তান। আজহার আলী (৫০*) ও জামান (৫১*)—দুজনই আরও বড় স্কোরের প্রত্যয় নিয়ে ব্যাটিং করছেন।