হাফিজুল ইসলাম লস্করঃ জমে উঠেছে সিলেটের ঈদের বাজার, তার উপর ১৬জুন শুক্রবার ও আজ শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় বিভিন্ন শ্রেনীপেশার ক্রেতাদের পদচারণায় সরগরম হয়ে উঠে বিভাগীয় নগরী সিলেটের ঈদ বাজার।
পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পছন্দের মার্কেটে ভিড় করেছেন সব শ্রেণির ক্রেতারা। ঈদের এখনও ৮/৯দিন বাকি থাকলেও অনেকেই কিনে নিচ্ছেন পছন্দের পোশাক। আবার অনেকে বিভিন্ন শপিংমলের নতুন নতুন কালেকশন ঘুরে দেখছেন।
ব্যবসায়ীরা জানান,গতকাল ও আজ ছুটির দিন হওয়ায় মার্কেটে ও বিপনিবিতানগুলোতে ক্রেতাদের প্রচুর ভীড়। তবে বিক্রি সেই তুলনায় কম হচ্ছে। সাধারণত; পনের রোজার পর থেকেই ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। ক্রেতাদেরও আগমন ঘটতে থাকে। যা চলে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত।
আল-হামরায় শপিং করতে আসা কলেজ ছাত্র রিমন আহমদ বলেন, ‘রোজার শেষ দিনগুলোতে মার্কেটে ক্রেতার অনেক ভীড় থাকে, কেনাকাটা করতে গেলে অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়। তাই ভোগান্তি এড়াতে আগেই কেনাকাটা করতে এসেছি।
বিভিন্ন বিপণি বিতান ঘুরে দেখা যায়, ঈদকে সামনে রেখে নগরীর বিপণি বিতানগুলো সেজেছে বর্ণিল সাজে। দেশি-বিদেশি পণ্যের সমাহার নিয়ে ক্রেতা আকৃষ্টে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছেন বিক্রেতারা। আর সব মার্কেটে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষনে রয়েছে কুপনের ব্যবস্থা। নিজের পছন্দের পোশাক খুঁজতে ক্রেতারাও দল বেধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মার্কেটে।
নগরীর বন্দর, জিন্দাবাজার, আম্বরখানাসহ নগরীর সবকটি শপিং মলগুলোতে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপছেপড়া ভিড়। এছাড়া অভিজাত শপিংমল পাড়া বলে খ্যাত মিরবক্সটুলা ও কুমারপাড়াও সবকটি শপিং হাউসে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
প্রতিবারের ন্যায় এবারও ক্রেতাদের বিশেষ করে তরুণীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষ রয়েছে বাহুবলী-২, কাটাপ্পা, সুলতান সুলাইমান ও হুর রাম ইত্যাদি নামক ভারতীয় পোষাক। ফলে সব দোকানীরা সেভাবেই তাদের কালেকশন সাজিয়েছেন।
এছাড়া দেশীয় বুটিকস এর চাহিদাও রয়েছে। মেয়েদের মানসম্মত পোষাকের সর্বনিম্ন আড়াই হাজার থেকে সর্বোচ্চ দশ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে শপিংমলে।
আবার স্থানভেদে অভিজাত শপিং হাউসগুলোতে সর্বনিম্ন ২৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ লাখ টাকা মূল্যমানের কাপড়ও কালেকশনে রাখা হয়েছে।