ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সরকার সশস্ত্রবাহিনীর আধুনিকায়নে সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সশস্ত্রবাহিনী দিবস উপলক্ষে দেয়া বৃহস্পতিবার এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্রবাহিনী দুর্যোগ মোকাবিলা, অবকাঠামো নির্মাণ, আর্তমানবতার সেবা, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা এবং বিভিন্ন জাতিগঠনমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করছে। তিনি বলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আমাদের সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন। সশস্ত্রবাহিনীর প্রতিটি সদস্য দেশপ্রেম, পেশাদারত্ব এবং উন্নত নৈতিকতার আদর্শে নিজ নিজ দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে যাবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
সশস্ত্রবাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের একটি আধুনিক সশস্ত্রবাহিনী গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন। তাঁর হাতে গড়া সে বাহিনী আজ পেশাদারত্ব ও দক্ষতার স্বাক্ষর রাখছেন তাদের সব কর্মকাণ্ডে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে সমগ্র বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর দেশপ্রেমিক জনতা, মুক্তিবাহিনী, সশস্ত্রবাহিনী ও বিভিন্ন আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা সম্মিলিতভাবে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণের সূচনা করেন। এর ফলশ্রুতিতে ১৬ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতির অগ্রযাত্রা ও বিজয়ের স্মারক হিসেবে প্রতিবছর ২১ নভেম্বর সশস্ত্রবাহিনী দিবস পালন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী গৌরবময় ঐতিহাসিক এই দিনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের সব বীর শহিদের এবং সশস্ত্র বাহিনীর সব শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। শেখ হাসিনা সশস্ত্রবাহিনী দিবস-২০১৪ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।