রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি :‘রাত দুইটা-আড়াইটার দিকে দেখি আমাদের বাসার নিচের মাটি সরে যাচ্ছে। আতঙ্কে সঙ্গে সঙ্গে ঘর ছেড়ে পাশের একটি বাসায় আশ্রয় নেই। কাছের আরো কয়েকটি বাড়ির লোকজন সেখানে ঠাঁই নিয়েছিল। ভোরে সেহরির কিছুক্ষণ পরেই এই বাসার ওপরেই পাহাড় ভেঙে পড়ে। এখনও সেখানে অন্তত ৬ জন নিখোঁজ রয়েছে।
ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া রাঙামাটি শহরের ভেদভেদি পশ্চিমপাড়া এলাকার খতিজা বেগম ও নূরজাহান বেগম এসব কথা বলেন। রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ফিরে যাওয়ার সময় তারা সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। সকালে শহরের যুব উন্নয়ন, ভেদভেদী, শিমুলতলি, রাঙাপানিসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পাহাড় ধসের খবর আসতে থাকে। রাঙামাটি সদর হাসপাতালে একের পর এক মৃতদেহ আসতে থাকে। আহত অবস্থায়ও ভর্তি হন অনেকে। ওদিকে কাপ্তাই উপজেলার রাইখালি ইউনিয়নের কারিগরপাড়া এলাকায় মাটিচাপা পড়ে উনু চিং মারমা এবং নিকি মারমা নামের দুজন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন রাইখালি ইউপি চেয়ারম্যান ছায়ামং মারমা। কাপ্তাই উপজেলার নতুন বাজার এলাকায় গাছ চাপা পড়ে আবুল হোসেন (৪৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন এবং ইকবাল নামের এক ব্যক্তি কর্ণফুলী নদীতে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন। এদিকে রাঙামাটি বাস মালিক সমিতির সভাপতি মাইনুদ্দিন সেলিম জানান, সকাল থেকে পাহাড় ধসের কারণে কোনো আন্তঃজেলা বাস ছেড়ে যায়নি। জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।