ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, তাঁর দলকে বাদ দিয়েই আগামী নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র করছে সরকার। কারণ, সরকার জানে, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তাদের ভরাডুবি নিশ্চিত।
আজ রোববার জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ইফতার অনুষ্ঠানের কথাগুলো বলেন খালেদা জিয়া। রাজধানীর গুলশানের ইমানুয়েল কনভেনশন সেন্টারে এ ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। খবর ইউএনবির।
অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে এলে তাদের কী পরিণতি হবে, তা সরকার জেনে গেছে। আর এ কারণেই আমরা যাতে নির্বাচনে না যেতে পারি, সে জন্য হয়রানির পথ বেছে নিয়েছে সরকার।’
খালেদা জিয়া বলেন, আগামী নির্বাচন যদি নির্দলীয় নিরপেক্ষ ‘সহায়ক’ সরকারের অধীনে হয়, তবেই বিএনপি তাতে অংশ নেবে। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, সবার অংশগ্রহণে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হোক।’
যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে খালেদা জিয়া বলেন, কোনো ভীতি ছাড়াই যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী এ নির্বাচনের আয়োজন করেছিলেন। নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা তিনি ভাবেননি। খালেদা জিয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যদি ন্যূনতম সাহস থাকে, তবে তারাও এ ধরনের নির্বাচন করতে পারে।’
খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে ভরাডুবির ভয়ই শুধু পায় না; গত ১০ বছরে এ দলের নেতা-কর্মীরা তাঁদের কৃতকর্মের ফলাফলেরও ভয় পান। খালেদা বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমা করলেও তাদের অপকর্মের জন্য জনগণ আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করবে না।’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এককভাবে দেশজুড়ে নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে বিএনপিকে ইফতার অনুষ্ঠানও করতে দেওয়া হচ্ছে না।