ঢাকা: সেমিফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হচ্ছে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকাকে আট উইকেটে হারিয়ে বি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলো ভারত। ১২ ওভার হাতে থাকতেই দুই উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার ১৯১ রানের জবাবে ভারত ১৯৩ রান করে। বিরাট কোহলি অপরাজিত থাকেন ১০১ বলে ৭৬ রান করে। যুবরাজ অপরাজিত থাকেন ২৩ রান করে। ৮ ওভার বল করে ২৮ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন জসপ্রিত বুমরাহ। একটি রানআউটেও অবশ্য ভূমিকা ছিল তার। ১৫ই জুন বাংলাদেশ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজের রেকর্ড আরো সমৃদ্ধ করলেন শিখর ধাওয়ান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে নিজের উইকেট দেয়ার আগে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন এ ভারতীয় ওপেনার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দ্রুততম ১০০০ রান হলো ধাওয়ানের।
ব্যাট হাতে সতর্ক শুরুতে ১০ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ছিল ৩৬/১। ইনিংসের ৫.৩তম ওভারে দলীয় ২৩ রানে সাজঘরে ফেরেন ভারতের ইনফর্ম ওপেনার রোহিত শর্মা। এর আগে বাঁচা-মরার ম্যাচে মাত্র ১৯১ রানে গুঁড়িয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন দক্ষিণ আফ্রিকার তিন ব্যাটসম্যান। জসপ্রিত বুমরাহ ও ভুবনেশ্বর কুমার নেন দুইট করে উইকেট। জবাবে ৩ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ১২/০।
কার্ডিফে রানআউটে কাটা পড়ে প্রোটিয়া শীর্ষ ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্সের উইকেট। ব্যক্তিগত ১৬ রানে সাজঘরে ফেরেন আইসিসি ওয়ারনডে র্যাঙ্কিংয়ের একনম্বর ব্যাটসম্যান ডি ভিলিয়ার্স। আর পাঁচ বলের ব্যবধানে রানআউট হয়ে যান ডেভিড মিলারও। এতে ২৯.১ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪২/৪-এ। ২১.১তম ওভারে দলীয় ১০০ রান পূর্ণ হয় দক্ষিণ আফ্রিকার । ৬৭ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন প্রোটিয়া ওপেনার কুইন্ট ডি কক। তবে ব্যক্তিগত ৫৩ রানে ভারতয়ি স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজার ডেলিভারিতে সরাসরি বোল্ড হয়ে যান তিনি। একাদশে ফিরেই দলকে প্রথম ব্রেক থ্রো এনে দিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অশ্বিনের ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিযে সাজঘরে ফেরেন প্রোটিয়া ইনফর্ম ওপেনার হাশিম আমলা। এতে ১৭.২তম ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭৬/১-এ। ব্যাট হাতে সতর্ক শুরুতে ১০ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ছিল ৩৫ রান। তবে হাতে ১০ উইকেটই অক্ষত ছিল প্রোটিয়াদের। বাঁচা-মরার ম্যাচে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। রোববার লন্ডনের ওভাল মাঠে ম্যাচে ভারত একাদশে ফিরেছেন অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এতে একাদশের বাইরে যেতে হয় পেসার উমেশ যাদবকে। ‘বি’ গ্রুপে উভয় দলের শেষ ম্যাচটি আদতে রূপ নিয়েছে কোয়ার্টার ফাইানালে। এ ম্যাচের বিজয়ী দল পৌঁছে যাবে সেমিফাইনালে আর বিজীত দল ধরবে স্বদেশের বিমান। ওভালে এ ম্যাচের বিজয়ী দলের বিপক্ষে সেমিফাইনালে খেলবে বাংলাদেশ।