আজ শনিবার রাজধানীর মতিঝিলের হোটেল পূর্বাণীতে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ইফতার মাহফিলে খালেদা জিয়া এ সব কথা বলেন।
সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ গড়ে তুলতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে খালেদা বলেন, রোজার ঈদের পর জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের জুলুম, অন্যায়, অত্যাচারের বিরুদ্ধে রাস্তায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিবাদ করতে হবে। সেটি করলেই সবাই এসে শরিক হবে। এ জন্য তিনি ছাত্র-যুবকদের অগ্রণী ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী রেখে কোনো নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না জানিয়ে দেন খালেদা জিয়া।
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, হাসিনা মার্কা নির্বাচন এ দেশে হবে না। হাসিনার অধীনে নির্বাচন কেউ মেনে নেবে না। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে। যে নির্বাচন একটি সহায়ক সরকারের অধীনে হবে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ার বিষয়ে খালেদা জিয়া বলেন, প্রতিনিয়ত জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। মানুষ শান্তিতে নেই। এখনো খুন, গুম, নির্যাতন চলছে। মানুষ অস্থির হয়ে উঠছে।
‘জনগণের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যাচার করছে’ দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, সব বাহিনীকে চিন্তা করতে হবে, এভাবেই কি দেশ চলবে? একটি শ্রেণি তাদের ব্যবহার করে লুটপাটের মাধ্যমে দেশকে শেষ করে দিচ্ছে।
প্রস্তাবিত বাজেটকে গরিব মারার বাজেট উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, নতুন নতুনভাবে কর-ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। ব্যাংক আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক ধার্য সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘তাদের তো কোনো চিন্তা নাই। কারণ তাদের টাকা দেশে নাই। সব বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং তাদের তো টাকা কাটা যাবে না।’
এনপিপির সভাপতি ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও নজরুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নেতা শামসুজ্জামান দুদু, আবদুস সালাম, শামা ওবায়েদ এবং ২০-দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে এলডিপির অলি আহমেদ, এনডিপির খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।