এম এ কাহার বকুল; লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ, লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়ক ও রেল পথ অবরোধ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
গাছের গুড়ি ফেলে বিদ্যুত সঞ্চালন লাইন ছিড়ে দিয়েছে। বিদ্যুতের দুই লাইন ম্যানকে আটক রেখেছে জনতা।
শুক্রবার (৯জুন) বিকেল ৫টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা বানিনগর রেল ক্রসিং এলাকায় রেল ও সড়ক উভয় পথ অবরোধ করে স্থানীয়রা।
জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলা সদরে সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর বাসভবন ও তার আশপাশ এলাকাকে ভিআইওপি লাইনের আওতায় এনে নিরবাচ্ছন্ন বিদ্যুত দিলেও পুরো উপজেলার হাজার হাজার গ্রাহক লোডশেডিং অতিষ্ট। পবিত্র রমজানের ইফতার তারাবি ও সেহরীর মত গুরুত্বপুর্ন সময়ে বিদ্যুত না পেয়ে ফুসে উঠেছে গ্রাহকরা।
নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে গাছের গুড়ি ফেলে ৩৩ হাজার বিদ্যুত সঞ্চালন লাইন বিচ্ছিন্ন করে রেলপথ সড়ক পথ অবরোধ করেন গ্রাহকরা। ৩৩ হাজার কেভি লাইন বিচ্ছিন্ন করায় ভিআইওপি লাইনে প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মদের বাসভবনসহ কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলা বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বিচ্ছিন্ন লাইন সচল করতে এলে ইসমাইল হোসেন ও পল্লব চন্দ্র নামে দুই লাইন ম্যানকে আটকে রেখেছে স্থানীয় জনতা। খবর পেয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান ঘটনাস্থলে এসে অনেক চেষ্টার পরও অবরোধ তুলে নিতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান। ঘটনাস্থলে পুলিশে এলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিতে পারে নি।
অবরোধকারীদের মধ্যে প্রশ্ন তুলে বলেন, মন্ত্রীর বাড়িতে সব সময় বিদ্যুত থাকবে আর আমরা অন্ধকারে গরমে মরব। আমরা কি বিদ্যুত বিল দেই না?
অবরোধের কারনে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কের উভয় পাশ্বে শতাধিক যানবাহন আটকা পড়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছে রোজাদার যাত্রীরা।
ছবি তুলতে গিয়ে অবরোধকারীদের লাঞ্চনার শিকার হয়েছেন উত্তর বাংলার লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক নিয়াজ আহম্মেদ সিপন। তার ক্যামেরা, মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় অবরোধকারীরা। পরে অনেক বুঝানোর পর তিনি রক্ষা পান।
কালীগঞ্জ বিদ্যুত বিভাগের প্রকৌশলী নাজমুল খন্দকারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে ফোনে পাওয়া যায় নি।
কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন জানান, অবরোধ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে।