বিআরটিসির ব্যাপক ঈদ প্রস্তুতি, চলবে ৯০০ বাস

Slider বাংলার সুখবর

f4cc48fc6c77e35b12b70a66c3522695-59391ffe9ae00

ঢাকা: এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারের পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) সারা দেশে ঈদ স্পেশাল সার্ভিস হিসেবে ৯০০ বাস চালু রাখবে। ২০ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত বিআরটিসির বিভিন্ন ডিপোতে এসব বাসের টিকিট বিক্রি করা হবে। বিআরটিসির এসব বাস ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় চলবে।

বিআরটিসি সূত্র জানায়, এবার ঈদে বিআরটিসি বিশেষ ব্যবস্থায় কিছু বাস ঢাকা ও ঢাকার বাইরের জেলা-উপজেলায় চলবে। কীভাবে কত বাস চলবে—এসব বিষয় নিয়ে সম্প্রতি বিআরটিসিতে এক বিশেষ সভা হয়। ওই সভা সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ৪৭৫টি বাস চলবে। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় ৩৭৫টি বাস চলাচল করবে। এ ছাড়া ৫০টি বাস আপত্কালীন অবস্থায় বিশেষ সেবা দিতে বিভিন্ন বাসের ডিপোতে সংরক্ষিত থাকবে। এর মধ্যে ঢাকার মিরপুর, নন্দন পার্কের সামনে, কল্যাণপুর, মতিঝিলে ৫টি করে ও মোহাম্মদপুরে ২টি বাস আপত্কালীন সময়ের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
এ ব্যাপারে বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ২০ জুন থেকে বিআরটিসির বিভিন্ন ডিপোতে বাসের অগ্রিম টিকিট পাওয়া যাবে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত টিকিট পাওয়া যাবে। চাইলে পুরো বাসও ভাড়া নেওয়া যাবে। তিনি জানান, অন্যান্য বাস থেকে এই বাসের তুলনামূলক ভাড়া কম বলে স্বল্প আয়ের মানুষ বিআরটিসি বাসে সবচেয়ে বেশি চলাচল করেন; বিশেষ করে পোশাককর্মীরা এসব বাসে বেশি যান।
অনেক সময় কর্মসূত্রে ঢাকায় থাকা একই এলাকার মানুষ বিআরটিসির পুরো একটি বাস ভাড়া করেন। তাঁরা এই বাস দিয়ে ঢাকার বাইরে যান, তেমনি আসার সময়ও একই বাস ব্যবহার করেন। তাঁদের সুবিধার জন্য বিআরটিসি বাস কর্তৃপক্ষ বিশেষ এই ছাড় দিয়ে থাকে।
বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, রাজধানীতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি অফিস ও রাজধানীর বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচলকারী বাস ঈদের ছুটিতে চলবে না। সেসব বাস বিভিন্ন জেলায় যাবে। ঈদের ছুটি শেষ হলে বাস আবার স্বাভাবিক নিয়মে চলবে।
সাভারের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার বাসিন্দা আবদুর রহিম। তিনি জানান, বিভিন্ন পোশাক কারখানায় তাঁদের এলাকার অনেক নারী-পুরুষ চাকরি করেন। ভাড়া কম হওয়ায় বেশ কয়েক বছর ধরে তাঁরা বিআরটিসির বাস ‘রিজার্ভ’ করে নেন। অনেক মানুষ একসঙ্গে যান বলে ভাড়াও কম পড়ে। তিনি বলেন, ‘আমাদের বেতন কম। অন্য বাসে গেলে আমাদের পোশায় না। অত ভাড়া কই পামো (পাব)। তাই আমরা বিআরটিসির বাস ভাড়া করে বাড়ি যাই। আবার ওই বাসত করে ফিরত আসি।’
কথা হয় বিআরটিসির কল্যাণপুর ডিপোর কয়েকজন বাসের চালকের সঙ্গে। তাঁদের একজন জানালেন, তাঁর বাড়ি রংপুরে। তাই তিনি ঈদের আগে ওই এলাকার বাস চালিয়ে নিয়ে যাবেন। ঈদের ছুটি শেষে ওই বাসে করে আবার ঢাকা ফিরে আসবেন। এতে পরিবারকেও সময় দেওয়া হলো আবার দায়িত্বও পালন করা হলো। প্রতিবছর তিনি এভাবে বাড়ি আসার চেষ্টা করেন। এবারও এই চেষ্টা করবেন বলে জানালেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *