ইন্টারপোলের রেড নোটিশ ও সালমানের ঢাকায় অবস্থানের ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি কানাডা কর্তৃপক্ষ এখনো পুলিশকে জানায়নি।
গত বছরের আগস্টে পুলিশের অভিযানে নিহত জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির অন্যতম নেতা তামিম চৌধুরীও কানাডার নাগরিক ছিলেন। গত বছর গুলশানের হলি আর্টিজান হামলার অন্যতম সংগঠক ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
৪ জুন কানাডার ন্যাশনাল পোস্ট, ডেইলি কলারসহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম ঢাকায় অবস্থানরত সালমানের ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ করে। ইন্টারপোলের রেড নোটিশে বলা হয়েছে, কানাডার বিচারিক কর্তৃপক্ষ সালমানকে খুঁজছে। তাঁর বিরুদ্ধে ইহুদি শনাক্ত করা যায় এমন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার দুটি অভিযোগ এবং ইহুদিরা যুক্ত আছে এমন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ইচ্ছাপূর্বক বিদ্বেষ ছড়ানোর তিনটি অভিযোগ রয়েছে।
ন্যাশনাল পোস্ট-এ প্রকাশিত খবরে ঢাকার গুলশানের একটি কফি শপের বাইরে সালমানের একটি ছবি প্রকাশ করে বলা হয়, রোববারই একজন ফটোগ্রাফার এ ছবিটি তুলেছেন। সালমানের ব্যক্তিগত সাইট থেকে সংগ্রহ করা আরও কয়েকটি ছবি দিয়ে খবরে বলা হয়, বনানীর একটি বিলাসবহুল হোটেলের ব্যায়ামাগারে, উত্তরার দিয়াবাড়িতে গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর ছবি রয়েছে। কিন্তু কানাডায় এখনো তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগের খড়্গ ঝুলছে, যার কারণে তাঁর ১৬ বছর কারাবাস হতে পারে।
ন্যাশনাল পোস্ট-এর ওই প্রতিবেদনের প্রতিবেদক স্টুয়ার্ট বেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সালমানকে নিয়ে কানাডার গণমাধ্যমে ২০০৮ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে প্রকাশিত বেশ কিছু সংবাদের লিংক প্রথম আলোতে পাঠান।